শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর, ২০২০, ১১:০৪ দুপুর
আপডেট : ০২ নভেম্বর, ২০২০, ১১:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাজী হানিয়াম মারিয়া: পিটিয়ে মেরে ফেলা যে খারাপ কাজ, তা বুঝতে কি খুব বেশি জ্ঞান দরকার?

কাজী হানিয়াম মারিয়া: ধর্ম মানুষের জীবনকে সুন্দর, সহনশীল এবং শৃঙ্খলিত জীবন-যাপন করতে শেখানোর কথা। যতোটুকু পড়েছি, জেনেছি, পালন করে বুঝতে শিখেছি এবং বিশ্বাস করি ইসলাম শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে। কিন্তু মানুষের অসহনশীল আচরণে ইসলাম বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। লালমনিরহাটের ঘটনাটা যদি একটু বিশ্লেষণ করা যায়, অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে যায়। আমাদের দেশের প্রায় সব মুসলিম বাবা-মারা ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের ইসলাম শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করেন। আমার ছোটবেলায় সব বাসার সকাল শুরু হতো হুজুরের কাছে পড়তে বসে। আরবি অক্ষর পরিচয় দিয়ে শুরু হয়ে কোরআন খতমের মাধ্যমে তা শেষ হতো। ছোট ছোট বাচ্চারা কোরআন না বুঝেই পড়তে পারছে এতেই বাবা-মা খুশি। কোরআনের অর্থ না বুঝে পড়ার জন্যই আমরা ইসলামের নির্দেশনা বা জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে সারাজীবনই অজ্ঞ থাকি। কেউ কেউ স্বল্প বুঝে নিজের মতো ভুল ব্যাখ্যা দেয়া শুরু করে, আর কেউ নিজের অজ্ঞতা মেনে নিয়ে চুপ করে থাকে। যতোটা যত্ন নিয়ে কোরআনের হরফ চেনানো হয়, নামাজের সূরা শেখানো হয়, আখেরাতের শাস্তির কথা শোনানো হয়, তার সিকিভাগও মানবপ্রেমের বা নিজেদের মধ্যে মনুষ্যত্ব জাগানোর কথা শেখানো হয় না।

ইসলাম পালনকে নামাজ, রোজা আর অমুসলিমদের শায়েস্তা করার মধ্যে আটকে ফেলেছে। ইসলাম অবমাননাকারীকে শাস্তি দেয়ার আগে নিজেরা ইসলামের আলোকে আলোকিত কিনা তা ভেবে দেখে না। লালমনিরহাটের ওই মসজিদের মানুষরা কোরআন অবমাননার দায়ে একজন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে। মব লিন্চিং এর কি কোনো বিচার হয়? এই যে এতো উচ্ছৃঙ্খল জনতা কোন বেহেশতের আশায় এই কাজ করলো? নিশ্চয় শুধু ওই সময়ের নামাজীরা শুধু জড়িত না, আশেপাশের মানুষরাও দৌড়ে এসেছে। কেউ একজন তো সবাইকে উশকে দিয়েছে। বিনা অপরাধে মানুষ মারার বা অপরাধের শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব তো ইসলাম তাদের উপর দেয়নি। সঠিক জ্ঞানের অভাব এবং অদ্ভুত ওয়াজগুলো মানুষকে এমন অসহনশীল করে তুলেছে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে আমাদের নবী (সা.) নিষেধ করেছেন।

আমরা নবীর (সা.) এর কথা মানি না, উনার জীবন ব্যবস্থা ফলো করি না, কিন্তু উনাকে ভালোবাসার দাবি জানিয়ে অন্য ধর্মকে ছোট করতে পিছপা হই না। ধর্মীয় কোনো ব্যাপার আলোচনা করার মতো জ্ঞান আমার নেই। হয়তো অনেকেরই নেই। কিন্তু মানুষ হয়ে অন্য মানুষকে কষ্ট দেয়া, অপমান করা, পিটিয়ে মেরে ফেলা (তা সে যে ধর্মেরই হোক না কেন) যে খারাপ কাজ তা বুঝতে কি খুব বেশি জ্ঞান দরকার? ইসলাম আগে ভালো মানুষ হতে বলে। নামাজ-রোজার বিধান অনেক পরে এসেছে। অসহনশীল মানুষ যে কিনা পুরো দুনিয়ার শান্তি নষ্ট করে, সে পরকালে বেহেশত যাবে বলে কীভাবে বিশ্বাস করে। আসুন প্রথমে মানুষ হই। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়