পঞ্চগড় প্রতিনিধি: [২] আকাশে লঘু চাপ ও মেঘ জমে থাকায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে আগামী তিনদিন খালি চোখে তেমনভাবে দেখা যাবে না হিমালয়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
[৩] তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা অনেকটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আজ সামান্য দেখা গেছে বেলা ১১টার সময়। সমুদ্রে লঘুচাপ থাকার কারণে কিছু মেঘ সৃষ্টি হওয়ায় দৃষ্টিসীমা অনেকটা কমে আসে। গত তিনদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাওয়ার কারণ বায়ূদূষণ কম থাকা ও আকাশ পরিষ্কার থাকা। লঘু চাপ দু’তিন দিনের মধ্যে কেটে গেলে কাঞ্চনজঙ্ঘা আবারো পরিষ্কার দেখা যাবে।
[৪] সরেজমিনে রোববার (১ নভেম্বর) জেলা সদরসহ তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দা নদীর কিনারা ঘুরে দেখা যায় ভ্রমণপিয়াসুদের ভিড়। অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য ধারণ করতে উন্মুখ। কিন্তু সকাল থেকে অপেক্ষায় থাকতে থাকতে অনেককেই হতাশ হয়ে ফিরে যান। তবে বেলা ১১টার সময় পর্বতসৃঙ্গের চূড়ার কিছু অংশ হালকাভাবে চোখে পড়লেও অনেকেই ক্যামেরাবন্দি করতে পারেননি।
[৫] আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার (১ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার (৩১ অক্টোবর) রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
[৬] ট্যুরিস্ট পুলিশ পঞ্চগড় জোনের ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড় জেলায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ পঞ্চগড় জোন অফিস সার্বক্ষণিক নিয়োজিত। পঞ্চগড়ে যে সব পর্যটক এই সময়টি কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখতে ও ঘুরতে আসেন তাদের নিরাপত্তায় আমরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। পর্যটকদের জন্য যতটুকু নিরাপত্তার প্রয়োজন আমরা ততটুকুই চেষ্টা করছি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :