সালেহ্ বিপ্লব: [২] সালটা ১৯৬২। জেমস বন্ড নামক এক বৃটিশ গুপ্তচরের আবির্ভাব ঘটলো সিনেমার পর্দায়। সিক্রেট সার্ভিস এমআই-সিক্স এজেন্ট, কোড ০০৭, খুন করার লাইসেন্স আছে। ইয়ন, উইকিপিডিয়া, বিবিসি
[৩] বন্ড সিরিজের প্রথম ছবি নাম ড. নো। শন কনরি ধামাকা লাগিয়ে দিলেন শুরুতেই। সতীর্থ এজেন্ট লাপাত্তা, সে বিষয়ে তদন্ত করতে জ্যামাইকা যান জেমস বন্ড। নায়িকা ছিলেন উরসুলা আন্দ্রেস। ছবির বাজেট ছিলো ১১ লাখ মার্কিন ডলার। বক্স অফিস দাপিয়ে ড. নো কামিয়েছে ৫ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
[৪] পরের বছরেই পরের পর্ব, ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ। রাশিয়া থেকে একটা ডিকোডিং মেশিন খুঁজে নিয়ে আসতে হবে। আর তা করতে হবে শয়তান ভিলেন সেটা খুঁজে পাবার আগেই। এই ছবিতে ২০ লাখ ডলার বিনিয়োগ, আয় ৭ কোটি ৮০ লাখ। বন্ড গার্ল ড্যানিয়েলা বিয়ান্সি।
[৫] তিন নাম্বারে গোল্ডফিঙ্গার, ১৯৬৪ সালে। নায়িকা অনার ব্ল্যাকম্যান। বন্ডের যুদ্ধ গোল্ড ফিঙ্গার নামের গোল্ড স্মাগলারের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সম্পদ ছিলো ফোর্ট নক্সে থাকা, সেই সোনার বারোটা বাজানোর পরিকল্পনা করে ওই স্মাগলার। সেটা ঠেকিয়ে দিন জেমস বন্ড। এবারেও আয়ের রেখা উর্ধ্বমুখী, দু সপ্তাহের মধ্যে খরচের টাকা উঠে এলো। মোট আয় করলো ১২ কোটি ডলার।
[৬] শন কনরির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ হিরো তিনি, এজেন্ট ০০৭। ১৯৬৫ সালে চতুর্থ ছবি থান্ডারবল, ন্যাটোর চুরি যাওয়া আনবিক বোমা ফিরিয়ে আনার মিশন। চোরেরা বলেছে, ১০ কোটি পাউন্ড মূল্যের হীরে দিতে হবে। তা না হলে আমেরিকা বা ব্রিটেনের কোনও একটি শহর ধ্বংস করে দেবে। শন কনরি তার চোখ ধাঁধানো অ্যাকশন, ক্ষুরধার বুদ্ধি আর তুমুল প্রেমের জোয়ার, সব মিলিয়ে এবারও দর্শককে তৃপ্ত করলেন। বন্ডগার্ল ছিলেন ক্লডিন অগার।
[৭] ১৯৬৭ সালে ইউ ওনলি লিভ টুয়াইস, পঞ্চম এবং শেষ পারফরম্যান্স, এমনটাই ঘোষণা দিয়েছিলেন শন। এবারের কাহিনী শীতল যুদ্ধের যুগে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে লেগে যাওয়া ফ্যাসাদ। দুপক্ষেরই স্পেসক্র্যাফট হারিয়ে যাচ্ছিলো, আর একে অপরকে দুষছিলো ওয়াশিংটন ও মস্কো। প্রায় বেঁধে যাওয়া যুদ্ধটা ঠেকান বন্ড, ছবিটির এবারের আয় ১১ কোটি ১০ লাখ ডলার। বন্ডগার্ল ক্যারিন ডর।
[৮] অবসর নেয়া হয়নি, ১৯৭১ সালে শন কনরিকে নিয়ে সিরিজের ষষ্ঠ ছবি ডায়মন্ডস আর ফরএভার। বন্ডগার্ল জিল এসটি জন। অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত বন্ড ঢুকে পড়েন লাসভেগাসের এক হীরা চোরাচালানী দলে। স্মাগলাররা ওয়াশিংটনকে টার্গেট করে লেজার ছুঁড়বে বলে প্ল্যান করেছিলো।
[৯] দীর্ঘ বিরতি পড়লো বন্ড সিরিজে। সপ্তম ছবি এলো ১৯৮৩ সালে। নেভার সে নেভার এগেইন। ছবির টাইটেলে জানিয়ে দেয়া হয়, ১৯৭১ সালে ষষ্ঠ ছবিটি করার সময় শন কনরি বলে দিয়েছিলেন, বন্ড চরিত্রে নেভার এগেইন। শন কনারির ০০৭ মিশন শেষ হলো ৭ম পর্বে, সঙ্গে ছিলেন বন্ডগার্ল কিম বেসিংগার।
[১০] কোটি কোটি মানুষকে ব্যথাতুর করে ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন প্রথম জেমস বন্ড শন কনরি, বয়স হয়েছিলো ৯০।