দেবদুলাল মুন্না:[২] ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টগুলোতে মামলা হয়েছে ৮৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৮টি। এ তথ্য জানান আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা একরামুল হক শামীম।
[৩] লইয়্যার ক্লাব প্রতিবেদনে জানা যায়, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ১২ দফা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির দায়িত্ব অর্পিত হয় বিচার বিভাগের ওপরে। ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের এক যুগপূর্তি পালিত হয়েছে।
[৩] একরামুল হক শামীম জানান, ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর প্রকাশিত বাংলাদেশের মামলার পরিসংখ্যানমূলক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন,২০০৭ সালে ম্যাজিস্ট্রেসির দায়িত্ব বিচার বিভাগের কাছে অর্পণের আগে মোট অনুমোদিত ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সংখ্যা ছিল ৬৫৫টি। তবে বিচার বিভাগকে মাত্র ২১৮ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে যাত্রা শুরু করতে হয়েছিল। ২০০৭ সালের শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ১৮ হাজার ৬৭১টি। অর্থাৎ প্রায় ৬ লাখের কাছাকাছি মামলা নিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি শুরু হয়।
[৪] তিনি বলেন,মামলার সংখ্যা বিবেচনায় সেই অনুপাতে ম্যাজিস্ট্রেট নেই। ২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের সময় ৬৫৫টি ম্যাজিস্ট্রেট পদ সৃজন করা হয়। এরমধ্যে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা ৬০০ জন এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা ৫৫ জন (সিজেএম, সিএমএম, এসিজেএম, এসিএমএম পদও রয়েছে)। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদেশে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে অনুমোদিত ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা ৬২০ জন এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসিতে অনুমোদিত ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা ৬৬ জন। সর্বমোট ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা ৬৮৬ জন।
আপনার মতামত লিখুন :