বাবলু ভট্টাচার্য্য: ষোলো শতকের গোড়ার দিকে মোনালিসা এঁকেছিলেন লেওনার্দো দা ভিঞ্চি। তারপর পাঁচ শতাব্দী পেরিয়ে গেছে। আজও এই চিত্রকর্মকে ঘিরে আলোচনার শেষ নেই। এসব আলোচনার অন্যতম বিষয় হলো মোনালিসার রহস্যময় হাসি। নতুন এক বইয়ে দাবি করা হয়েছে, এই হাসি আঁকতে রাতের পর রাত লাশকাটা ঘরে (মর্গ) কাটিয়েছেন দা ভিঞ্চি।
যুক্তরাষ্ট্রের লেখক ওয়াল্টার আইজ্যাকসন রচিত লেওনার্দো দা ভিঞ্চি: আ বায়োগ্রাফি বইতে এ তথ্য উঠে এসেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। লেখক ওয়াল্টার ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক শিক্ষা ও নীতি গবেষণা সংস্থা অ্যাসপেনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী। তিনি সিএনএনের প্রধান নির্বাহী এবং টাইম ম্যাগাজিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদকও ছিলেন।
ওয়াল্টার আইজ্যাকসন তাঁর বইয়ে লেখেন, মোনালিসা আঁকার সময় মানুষের হাসির উৎস জানতে একপ্রকার মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ভিঞ্চি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তিনি হাসপাতালের লাশকাটা ঘরকে বেছে নিয়েছিলেন।
'লেওনার্দো দ্য ভিঞ্চি: আ বায়োগ্রাফি' বইটির প্রকাশক প্রতিষ্ঠান সাইমন অ্যান্ড সুস্টার বলেছে, মোনালিসার নিখুঁত হাসি আঁকার সময় ভিঞ্চি ইতালির ফ্লোরেন্স শহরের সান্তা মারিয়া নুভা হাসপাতালের লাশকাটা ঘরে রাতের পর রাত কাটিয়েছেন। লাশের মুখে ত্বকের নিচে থাকা পেশি ও স্নায়ুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। পেশিগুলোর নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিটি স্নায়ুর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে প্রতিটি নড়াচড়া বিশ্লেষণ করেন তিনি।
লেখক মন্তব্য করেছেন, মোনালিসার হাসি আঁকার সময় মুখের কোন স্নায়ুগুলো সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তা জানার চেষ্টা করছিলেন দ্য ভিঞ্চি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :