ইমরুল শাহেদ: চলচ্চিত্রের নির্মাণ খাত বলতে গেলে মাত্র কয়েকজন নির্মাতাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সকলের মধ্যে ছবির সংখ্যার দিক থেকে শামিম আহমেদ রনিই এগিয়ে আছেন। তিনি শাপলা মিডিয়ারই একাধিক ছবি পরিচালনা করছেন এবং তার নির্মিত ছবিতে অন্য পরিচালকের নামও যাচ্ছে। এর পরেই যাদের নাম করা যায় তারা হলেন সৈকত নাসির, রায়হান রাফি, নঈম ইমতিয়াজ নিয়ামুলসহ আরো কয়েকজন।
নতুন প্রযোজকরা আসছেন। তারা প্রাধান্য দিচ্ছেন মিডিয়ার নির্মাতাদেরই। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, চলচ্চিত্রকেই একমাত্র ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগই ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যমুনা ফিল্মস কর্পোরেশন, আলমগীর পিকচার্স, মাসুদ কথাচিত্র, এসএস প্রোডাকশনসহ আরো কয়েকটি নিয়মিত চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য অপেশাদার বা চলচ্চিত্রকে ব্যবসা হিসেবে মনে করেন না এমন প্রযোজকের সংখ্যাই এখন বেশি। তাতে দক্ষ, পেশাদার পরিচালকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বেশির পরিচালকই অলস সময় পার করছেন। যাদের ছবি দেখে এক সময় দর্শক মুগ্ধ হতেন প্রযোজকের অভাবে তারা ছবি নির্মাণ করতে পারছেন না।
এফআই মানিক, সোহানুর রহমান সোহান, ওয়াকিল আহমেদসহ আরো অভিজ্ঞ নির্মাতারা ছবি নির্মাণ করছেন না এখন। ডিপজলের বনি কথাচিত্র নীরব থাকায় এফআই মানিকের ছবি নির্মাণও হঠাৎ থেমে যায়। এখন শোনা যাচ্ছে তিনি শাপলা মিডিয়ার একটি ছবি নির্মাণ করবেন।
এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ১১ জন পরিচালককে চুক্তিবদ্ধ করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন কাজী হায়াত, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মালেক আফসারী, শাহীন সুমনসহ আরো কয়েকজন। কিন্তু কার ছবি কবে শুরু হবে সেটা বুঝা যাচ্ছে না। এফআই মানিক এবং মালেক আফসারীর সঙ্গে কথা হলে কবে নাগাদ তারা ফ্লোরে যাচ্ছেন জবাব পাওয়া যায়নি। আপাতত এসব পরিচালকরা শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের সঙ্গে পরিচালক সমিতির যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা সমাধানের জন্য অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।