মনিরুল ইসলাম : [২] ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর বালু কেটে ফের নদীতে ফেলার অভিযোগ তুলেছে সংসদীয় কমিটি।
[৩] বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ অভিযোগ তোলা হয়।
[৪] কমিটির সভাপতি আ. স. ম. ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মাহবুব উল আলম হানিফ, মির্জা আজম এবং মুহিবুর রহমান মানিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
[৫] বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, ড্রেজিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নেই বলে কমিটি মনে করে। বালু তুলে নদীতে ফেলা হয়। নদীর পাড়ের জমি লিজ বা ভাড়া নিয়ে সেখানে বালু ফেলতে পারে, তাহলে কত পরিমাণ বালু তোলা হয়েছে তা জানা যাবে।
[৬] তিনি বলেন, ড্রেজিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। কার্যত ড্রেজিং দৃশ্যমান নয়। আরিচা ও মাওয়া ফেরি বন্ধ, অথচ বলা হচ্ছে ড্রেজিং চলছে। ড্রেজার কেনাতে স্বচ্ছতা নেই বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
[৭] সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে নৌপথকে সচল রাখতে ড্রেজিং করা পলিমাটি ও বালু পুনরায় নদীতে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা এবং নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কমিটি সুপারিশ করেছে।
[৮] বৈঠকে নৌপথে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে নৌ-টার্মিনালে প্রবেশে টিকিটের অনিয়ম ও চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ করা হয়। সম্পাদনা: বাশার নূরু