রাশিদুল ইসলাম : [২] ফি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অভিভাবকরা মামলা দায়েরের পর আদালত এই অর্থবর্ষে ফি বৃদ্ধি না করা এবং লকডাউনের জন্য ২০ শতাংশ ফি মওকুফ করতে বলে। কলকাতা হাইকোর্ট আরও বলে, কোনও অভিভাবক যদি ২০ শতাংশের চেয়েও বেশি ফি মওকুফের আবেদন করেন তাহলে তা খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গড়তে হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] সমস্ত বোর্ডের ১৪৫টি স্কুলকে দেয়া এ নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কয়েকটি স্কুল যায় সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্ট বলেছিল, লকডাউন পর্বে স্কুলে গিয়ে ল্যাব কিংবা প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করেনি শিক্ষার্থীরা। স্পোর্টসের ক্লাসও হয়নি। ফলে সেসব ফি মওকুফ করতে হবে।
[৪] স্কুলের যুক্তি ছিল, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন তাহলে তারা কী ভাবে দেবে? এই প্রশ্নে আদালত স্পষ্ট বলে, বেতন এবং বর্ধিত বেতন ছাত্রদের ফি বাড়িয়ে তোলা যাবে না। লাভ্যাংশ কমিয়ে তা দিতে হবে। পাঁচ শতাংশের বেশি লাভ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় আদালত।
[৫] ফি বৃদ্ধি নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড হয় কলকাতার বিভিন্ন স্থানে। বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বেহালার বিভিন্ন স্কুলের সামনে অবরোধ, বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন অভিভাবকরা। পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্কুলগুলির কাছে মানবিক হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় শেষমেশ আদালতে গড়ায় এই মামলা।
আপনার মতামত লিখুন :