সুজিৎ নন্দী : [২] ডিসেম্বরের মধ্যে পরিকল্পনা হাতে আসবে। এখানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা ওয়াসা সঙ্গে ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি যুক্ত থাকবে। বিটিআরসি সঙ্গে চুক্তি করে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো রাস্তা কেটে পাইপ লাইন বসাবে। ভাঙ্গা রাস্তার সংস্কারের কাজ ডিএসসিসি করবে। এজন্য ডিএসসিসিকে কোন টাকা দেয়া লাগবে না। কথাগুলো বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।
[৩] তিনি বলেন, যারা পরিদর্শক ঢাকা শহরের ভাঙ্গা রাস্তা নির্ণয় করে প্রকৌশল বিভাগ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা সংস্কার করবে। রিপিয়ারিং ম্যানেজমেন্টকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছি।
[৪] মেয়র তাপস বলেন, ডিএসসিসিতে মশক নিধন কার্যক্রমে অতীতে বেশ কিছু পদক্ষেপ প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। অভিযোগ উঠেছিল দুর্নীতিরও। বিশেষ করে মশক নিধনে মানহীন ও নিম্নমানের ওষুধ ছিটানো, যন্ত্রাংশ ক্রয়, প্রয়োজনীয় অ্যারোসল ক্রয় ও বিতরণ। পরিকল্পনার অভাবও ছিল। সেসব তদন্ত হবে।
[৫] তিনি বলেন, দায়িত্ব নিয়ে আমি উপলব্ধি করেছি, এখানে অনেক কিছুই শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছে। অনেক কার্যক্রম শুরু করেছি। কেবল দুর্নীতিই নয়, অপচয়, অবহেলা, অনিয়ম ও গাফিলতি রন্ধে রন্ধে রয়েছে। তাই প্রশাসনিক সংস্কারে হাত দিয়েছি। প্রশাসনিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। সেবাগুলো ঢাকাবাসীর কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। একেকটি বিভাগ, একেকটি কাজ নতুন করে সাজাচ্ছি।
[৬] তিনি বলেন, প্রশাসনিক সংস্কারের কাজ চলমান থাকবে। আমরা পুরনো ঘানি টানতে চাই না। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলেছি ১৭ মে থেকে সামনের ৫ বছর, কোনো রকম কোনো দুর্নীতি, অবহেলা ও গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। জিরো টলারেন্স মানে শূন্যই। এটি কখনো শূন্য থেকে বাড়বে না।
[৭] ঢাকার অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। প্রতি বর্ষায় জলাবদ্ধতায় মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ঢাকা সিটিতে যেসব সেবা সংস্থা কাজ করে, এর মধ্যে কেবল সিটি করপোরেশনের মেয়র জনগণের ভোটে নির্বাচিত। ফলে নগরবাসীর প্রত্যাশাটা মেয়রের কাছে বেশি। এর আগে দায়িত্ব পালন করা মেয়ররা বিভিন্ন সেবা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীন যত্রতত্র রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িসহ নানা কারণেই এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি।
[৮] দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সিন্ডিকেটের কোনো সুযোগ নেই। যারা ছিল তাদের দিন শেষ। এখন স্বচ্ছ উপায়ে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় কাজ চলছে। কোনো দুর্নীতি, অপচয়, অবহেলার সুযোগ নেই। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জিইয়ে রেখে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চলমান থাকবে। উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে নিবিড় তদারকি দরকার, নিবিড় পর্যবেক্ষণ দরকার। আমরা সেভাবেই কাজ করছি। ঢাকাবাসী যতদিন না আত্মবিশ^াস জন্মাবে এই সংস্থা সঠিকভাবে সেবা পৌঁছে দিচ্ছে, ততদিন এভাবে কাজ চলবে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু
আপনার মতামত লিখুন :