গাজীপুর প্রতিনিধি: [২] গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহকর্মী নারীকে ধর্ষণ করে এক যুবক। পরে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
[২] এ ঘটনার ১০ মাস পর সোমবার রাতে প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশ।
[৩] গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান জানান, টঙ্গী পূর্ব থানার মধ্য আরিচপুরের শেরে বাংলা রোড এলাকার মোঃ মোশারাফ হোসেনের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার পিয়াইম এলাকার দ্বীন ইসলামের মেয়ে নুরুন্নাহার বেগম (১৮) নামে এ নারী। ঐ বাসার পাশেই হোটেল বাবুর্চী হাবিবুর রহমান হাবিব (২২) কাজ করত। পাশাপাশি বাসায় থাকায় তাদের দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের প্রায় ৫ মাস পর গৃহকর্মী নুরুন্নাহার বেগমের রুমে গত ৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১ হতে ৪ জানুয়ারি সকাল ৯টার পূর্বে যে কোনো সময় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
[৪] এ ঘটনায় নিহতের পিতা মোঃ দ্বীন ইসলাম বাদি হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। ময়না তদন্ত রিপোর্টে নুরুন্নাহার বেগমকে মৃত্যুর আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে আলামত পায়। পরে পুলিশ সোমবার রাতে প্রেমিক হাবিবুর রহমান হাবিবকে (২২) তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার পুড়াইখলা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। তার পিতার নাম নুরুল ইসলাম।
[৫] প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হাবিবুর রহমান পুলিশকে জানায়, নুরুন্নাহার বেগমের সঙ্গে হাবিবের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করেছিলো। নুরুন্নাহার বেগম যে দিন আত্মহত্যা করেছিলো সেই দিনেও আসামি হাবিবুর রহমান হাবিব তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছিলো। তাদের দু’জনের মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হলে নুরুন্নাহার ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :