শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ০৮:০৮ সকাল
আপডেট : ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ০৮:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাসুদ রানা: বাংলার পরিবেশ দূষণ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উপাদান

মাসুদ রানা: বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণের মধ্যে যেমন রাজনীতির উপাদান স্পষ্ট, তেমনি ধর্মীয় উপাদান স্পষ্ট। এই পরিবেশ দূষণ শুধু ভৌত নয়, সাংস্কৃতিক ও মূল্যবোধিকও। রাজনীতি ও ধর্মীয় দূষণ-উপাদানের উৎস-সমূহের মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও কতিপয় ইসলামী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র শাসন করছে আওয়ামী লীগ, যারা রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে প্রকাশ্য রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির দখল-লুটপাট এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে দুঃশাসন চালাচ্ছে। এদের ছত্রচ্ছায়ায় চলছে ধর্ষণ-নির্যতন ও গুম-খুন। সমাজ-সংস্কৃতি শাসন করছে ইসলামবাদীরা, যারা প্রতিনিয়ত মসজিদ-মাদ্রার প্রতিষ্ঠা ও বিস্তার ঘটিয়ে যাচ্ছে এবং ওয়াজ-মাহফিলের নামে নিজেদের ইচ্ছে-মতো জীবন-বিধানের ফতোয়া দিচ্ছে এবং ভিন্ন-ধর্ম ও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছে। এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চলছে ধর্ষণ-নির্যাতন-খুন। মানুষের একসময়ে ধারণা ছিলো, এদের আওয়ামী লীগ ও ইসলামবাদীদের মধ্যে আদর্শগত ফারাক আছে। হয়তো ছিলোও, কিন্তু গত কয়েক দশকে সেই ফারাক ঘুচে গিয়েছে। আওয়ামী-ইসলামী ফারাক ঘুচে যাওয়ার পেছেন আছে একের কাছে অন্যের আত্মসমর্পণ। ইসলামবাদীরা আওয়ামী লীগের স্বৈরতান্ত্রিক রাজনীতি মেনে নিয়েছে, এবং আওয়ামীলীগাররাও ইসলামবাদীদের চাওয়া রাষ্ট্র-সমাজ-সংস্কৃতির ইসলামীকরণ মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের সাথে ধর্মতন্ত্রের এ-সখ্য নতুন কিছু নয়। এ-দেশে স্বাধীনতার আগে থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পর আজও পর্যন্ত স্বৈরশাসকগণ সব সময়ই ইসলামবাদীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন লাভ করেছে। ইসলামবাদীরা তাদের শিক্ষণ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে পেশাগতক্ষেত্রে দান অনুদান প্রাপ্তিকে তাদের লাইফ-লাইন হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত। ফলে, স্বৈরশাসকগণ যখনও দান-অনুদান নিয়ে ওদের দিকে হাত বাড়ায়, ওর দু'হাত দিয়ে তা বরণ করে পকেটস্থ করে সেই দুহাত উপরে তুলে দোয়া মাঙ্গে। হিন্দুত্ববাদীদের সম্পর্কেও কিছু বলা দরকার।

ওরা আওয়ামী লীগের ওপর ভরসা হারিয়ে খুবই বিপজ্জনকভাবে ভারতের হিন্দূত্ববাদী সরকার ও রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এ-সবকিছুই হয়েছে এবং হচ্ছে স্বাধীনতার পর আমাদের বাঙালি জাতির বাঙালি-আত্মপরিচয় দূর্বল হয়ে পড়ার কারণে। আসলে, স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের বাঙালি আত্মপরিচয় নেতৃত্বের এদিক-ওদিক টানাপোড়েনের মাধ্যমে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানি অভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশিক আমলে আমাদের বাঙালির ওপর জাতিগত শোষণ ও পীড়ন থাকলেও জাতির মধ্যে বাঙালি-আত্মপরিচয় শক্তিশালী ছিলো। আর সে-কারণেই ১৯৭১ সালে আক্রান্ত হয়ে আত্মরক্ষার যুদ্ধে এ-জাতি বাঙালি হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলো। আজ যদি এ-জাতি আক্রান্ত হয়, আমি নিশ্চিত নই ১৯৭১ সালে ধর্মনির্বেশেষে ধর্মনিরপেক্ষভাবে বাঙালি জাতি তার স্বদেশ ও স্বজাতিকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবে কি-না। আমার আশঙ্কা, পাকিস্তান আক্রমণ করলে ইসলামবাদীরা ১৯৭১ সালের মতোই রাজাকারের ভূমিকায় পুনর্জীবিত হয়ে উঠবে। আর, ভারত আক্রমণ করলে হিন্দুত্ববাদীরা পঞ্চম বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। আবার, সেই ধর্মনিরেপক্ষ ছাত্র-যুবক, শ্রমিক-কৃষক-সহ সাধারণ মানুষকেই স্বদেশ ও স্বজাতির রক্ষায় নামতে হবে। কিন্তু এবার তাদেরকে আগে থেকেই সর্তক হতে হবে, যুদ্ধের ফল যেনো বেহাত না হয়ে যায়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়