মোহাম্মদ শরিফ: ফরাসি কলোনী বিধায় প্রচুর আলজেরিয়ান তথা মুসলিম প্যারিসে থিতু হয়েছিলেন। ভাষা-জাতি-ধর্মাবেগে একই স্থানে থাকতে-থাকতে এক সময় বিশাল জন-সংখ্যায় পরিণত হয়ে ভোটের রাজনীতে প্রভাবও বিস্তার করা শুরু করে দিলো। কিন্তু অপরাধের অভয়ারণ্য হয়ে উঠলো ওই সকল এলাকা। পুলিশ রেইড থেকে রক্ষা পেতে ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা শুরু হলো। ভোটের হিসাব-কিতাব মাথায় রেখেই কিন্তু নগর জনপ্রতিনিধিরা একপ্রকার ধামা-চাপা দিয়ে রাখতে-রাখতে এক সময় বিস্ফোরণ-জঙ্গিবাদ! রোমান্টিসিজমে ভোগা জাতিগত বিলাসিতা ফরাসিদের। মানবধিকার দেখাতে যাওয়ায় ফরাসি সরকারের এমন নরমনীতির সমালোচনাও করতে ছাড়েনি অন্যান্য রাষ্ট্র। এবার হঠাৎক্ষেপে গিয়ে হলেন কট্টর। তাতে একদিকে যেমন প্যারিসসহ বিশে^র বাকি দেশে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিদের উস্কানি দেওয়া হবে ঠিক তেমনি নাৎদেরও লাই দেয়া হবে।
নাৎদের দিক আলোকপাত করতে গেলে দেখা যাবে ফরাসিরা একেবারে ধোয়া তুলসিপাতা নয়। একাত্তরের প্রবাসী সরকারের বিকল্প হিসেবে যেমন পাকি দখলদারদের এই দেশীয় জামায়াতিরা প্রেট্টোনাইজ করেছিলো তেমনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও ফ্রান্সে হিটলার-নাৎতাবেদারী সরকার ছিলো। প্রবাসী সরকার ও বাকি মিত্রশক্তির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেন রুজভেল্ট-আইজেন হাওয়ার এই তাবেদারী সরকার ও প্রবাসী সরকারকে এক পাল্লায় তুলেছিলেন তার সঠিক উত্তর হয়তো হবে হিটলার-মুসোলিনীর সাথে-সাথে স্টালিন তথা সোভিয়েত রাশিয়ার আধিপত্য খর্ব করাও ছিল আরেক উদ্দেশ্য। তাই বিশ্বব্যাপী বাকী নাৎদের শক্তিমত্তার দিকে নজর দেননি কেউ। যার প্রভাব অদ্যাবধি বিদ্যমান সারা বিশ্বজুড়ে। ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে খোদ জার্মান কূচক্রীদের বিচার করেও এদের আদর্শ বিনাশ করা যায়নি যেমন করা হয়নি আমাদের দেশে জামায়াতিদের আদর্শ।
(মূলত হিটলারের এন্টি সেমিটিজমে পুলকিত হয়ে দুইজন ভারতীয় মুসলিম ভারতে ফেরৎএসেছিলেন সেই আদলে এন্টি হিন্দুইজম-এর রাজনীতি চালু করার তরে। যাদের থেকে সেই আইডিয়া হাওলাত করে আবুল আলা মওদূদী। পরবর্তী সময়ে ইদার ইউ আর উইথ মি অর এগেনিস্ট মি' আদর্শ বাস্তবায়ন করা হয় যাতে মাওলানা ফারুকীর মতো মুসলিমদেরও নির্দ্বিধায় কাতেল করে দেয়া হয় জেহাদের আয়াতের অপব্যাখা দিয়ে মগজ ধোলাই করে।) ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :