শওগাত আলী সাগর: [১] শহরের যেকোনো রাস্তা ধরে চলতে গেলেই মনে হয়, কারা যেন রঙিন আলপনায় পুরো শহর- জনপদকে নানা রঙে রাঙিয়ে রেখেছে। রাস্তার দুপাশে সারিসারি রঙিন গাছগুলোকে মনে হয় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বিশেষ কোনো অতিথির আগমন উপলক্ষে রাস্তার দুপাশে রঙিন কাগজের ফুল বানিয়ে তোরণের পর তোরণ সাজিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে। প্রকৃতি কি তাহলে কাউকে অভ্যর্থনা জানাতে এমন বর্ণিলভাবে নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে!
[২] কানাডায় এই ঋতুটাকে বলে ‘ফল’। আমরা অনেকটা কাব্য করি বলি ‘পাতা ঝড়ার কাল’। চারদিকেই গাছের পাতা পরছে, ঝড়াপাতাগুলো গাছের নীচে কি অদ্ভূত এক পরিবেশের তৈরি করে রেখেছে।কিন্তু যে পাতাগুলো ঝড়েই যাবে, সেগুলো তাহলে এমন রঙের খেলায় মেতে উঠলো কেন? কোনো পাতাই তো তো জুবুথুবু বিমর্ষ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরছেনা। বরং ঝড়ে পরার আগে আরও সতেজ,বর্ণিল আর যৌবনময় হচ্ছে, তারপর গাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হাওয়ায় উড়ে উড়ে পথের ধারে ছড়িয়ে পরছে! বিচ্ছেদও কি তাহলে এমন বর্ণাঢ্য কিঝু!এমন রঙের সাজেই কি তা হলে বিদায় নিতে হয়!
[৩] পাতাদের ঝড়ে পরা শেষ হলে হিমাঙ্কের শূন্য ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা নেমে যাবে, শহরজুড়ে নামবে শীত। সাদা বরফের চাদর এসে ঢেকে দেবে সবকিছু। সেই বরফের আগমণী বার্তাও কি তা হলে এমন রঙিন হয়! প্রকৃতি কতো কিছুই যে আমাদের জানাতে চায়, শেখাতে চায়। হায়! আমরা কেবল আমাদের মতো করে ভাবতে ভাবতেই প্রহর কাটিয়ে দিলাম। ঈষৎ সংক্ষেপিত। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :