সোহেল রহমান : [২] কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছে আরও ৫০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনা টিকা আমদানি/ক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরণে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রসঙ্গত: করোনার টিকা আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সকল জনগণের জন্য টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
[৩] বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-এর ‘বার্ষিক সভা-২০২০’-এর অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী এ আহবান জানান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার-এর নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল অংশ নেন।
[৪] ভার্চুয়াল সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ের জন্য ঋণ সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে ‘আইডিএ’ভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ও নায্যতার সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য দ্রুত ঋণ মঞ্জুর করার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি তিনি আহবান জানান।
[৫] অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, সভায় বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার বলেন যে, বাংলাদেশের সহায়তার প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে দেখা হবে।
[৬] এছাড়া কোভিড-১৯-এর প্রভাবে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বিভিন্ন ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান ‘কোভিড-১৯ রিকভারি অ্যান্ড রেসপন্স’ শীর্ষক ৫০ কোটি ডলারের প্রকল্প থেকে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে জরুরী ভিত্তিতে ২৫ কোটি ডলার ছাড় এবং বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিক খাত সচল করতে বিশ্বব্যাংকের ‘প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ প্রকল্পের তৃতীয় কিস্তির ২৫ কোটি ডলার দ্রুত ছাড় করার অনুরোধ জানান অর্থমন্ত্রী।
[৭] সভায় ‘প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ প্রকল্পের বিষয়ে সিনিয়র অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদের জানান, প্রকল্পটির প্রয়োজনীয় শর্তাবলীর অধিকাংশই ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট শর্তাবলীও সহসাই পূরণ করা সম্ভব হবে। ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, বিশ্বব্যাংকের আইডিএ-১৮-এর আওতায় বাংলাদেশ কোর আইডিএ থেকে ৫০০ কোটি ডলার এবং এসইউএফ থেকে আরো ২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, যা ‘আইডিএ’ভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে একক সর্বোচ্চ পরিমাণ। প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করায় ‘আইডিএ-১৯’-এর আওতায় বাংলাদেশকে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অধিক পরিমাণে বরাদ্দ প্রদানের অনুরোধ জানান তিনি।