রাশিদুল ইসলাম : [২] এক সপ্তাহের কম ব্যবধানে সেনাবাহিনীর দুটি অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বলেছেন সম্ভাব্য হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিন। শি বলেছেন চীন কখনো তার জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট বা তার অঞ্চল বিভক্ত করার সুযোগ দেবে না। দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন উপস্থিতি, হংকংয়ের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন ও লাদাখে ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অস্ত্র ও সেনা বৃদ্ধির পাশাপাশি জিন পিংয়ের যুদ্ধ প্রস্তুতির নেয়ার আহবান তৎপর্য বহন করে। স্পুটনিক /দি ওয়াল
[৩] শি স্পষ্টতই বলেছেন নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থ বিঘ্নিত হলে চীনা জনগণ দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে। চীন আধিপত্যবাদ সম্প্রসারণ রাজনীতির বিরুদ্ধে। বর্তমান বিশ্বে একতরফা স্বার্থ রক্ষা ও অহংকার সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং অবরোধ ও চাপ সৃষ্টির পদ্ধতি একেবারেই অকার্যকর।
[৪] এ অবস্থায় আগামী সপ্তাহেই ভারতে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার। ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, লাদাখে ভারত-চীন সেনা সমাবেশের দিকে সতর্ক নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত গত কয়েক মাস ধরে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করছে।
[৫] অনলাইন প্রেস বিবৃতিতে মার্কিন কর্তারা বলছেন হিমালয় থেকে দক্ষিণ চীন সাগর পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সহযোগিতাআরও প্রয়োজন। মালাবারে নৌ মহড়ায় ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া অংশ নেয়ায় আমরা খুশি। লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে আমরা অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি ও যৌথ সেনা মহড়া দিচ্ছি।