শাহীন খন্দকার : [২] শেরে বাংলা নগর জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় একমাত্র সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল।
[৩] জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নবনির্মিত কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব জোন-২ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটকে ৭০০ শয্যা থেকে খুব শিগগির ১২০০ শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে। সবই করা হচ্ছে মানুষের চিকিৎসাসেবায় সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্যই। এসময়ে পরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারি সিদ্ধান্তের সফলতা আজ দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ্য হাসপাতাল হতে যাচ্ছে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট। ডিসেম্বরে কাজ শেষ হলেই প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জন্য ।
[৪] তিনি বলেন, এই হাসপাতালে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তিন মাস নিয়মিত অস্ত্রোপচার বন্ধ ছিল। এখানে গত বছরের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর এই ১০ মাসে প্রায় ১৫ শতাংশ অস্ত্রোপচার কম হয়েছে। অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, করোনাভীতির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় রক্ত এবং মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতার অভাবই মূলত এর কারণ।
[৫] এসময়ে পরিচালক বলেন, কোভিড-১৯ চলাকালিন সময়েও ১৫ জনের ওপেন হার্টসার্জারি করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে, তার পরেও ৮ শতর অধিক রোগী ভর্তি আছে হাসপাতালটিতে । করোনাভাইরাসের কারণে আগে যেখানে রোগী ভর্তি প্রতিদিন গড়ে ৯৫০ থেকে ১ হাজার রোগী ভর্তি থাকতেন এখন তা নেই।
[৬] ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, তবে সেবার পরিধি ও গুণগত মান কয়েকগুণ বাড়া ছাড়াও সাধারণ শয্যা, কেবিন, আইসিইউ, সিসিইউ, ক্যাথ ল্যাব ও অপারেশন থিয়েটারের সুবিধা বাড়ছে প্রায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। ফলে সল্পব্যয়ে দেশের দরিদ্র হৃদরোগীরা আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্মত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে হাসপাতালটিতে। এছাড়া বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার রোগী সেবা নেন।
আপনার মতামত লিখুন :