কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] শুক্রবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারী নেতৃত্ব’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ইভেন্টে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এ আহ্বান জানান।
[৩] তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ সামগ্রিক শান্তি প্রক্রিয়ায় এখনও নারীর অংশগ্রহণ খুবই অপ্রতুল কম।
[৪] রাবাব ফাতিমা শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
[৫] যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশগুলোতে বিশেষ করে ‘যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা দমন’ ‘পারষ্পরিক আস্থার সম্পর্ক তৈরি’ এবং ঐ সকল সমাজের নারীদের দেশগঠনের কাজে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নারী শান্তিরক্ষীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
[৬] নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান, মিশনসমূহে নারীবান্ধব স্থান ও পরিবেশ তৈরি এবং ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা (ডব্লিউপিএস)’ এজেন্ডার বাস্তবায়নের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
[৭] জাতীয় পর্যায়ে ডব্লিউপিএস এজেন্ডা বাস্তবায়নার্থে গতিশীল প্রচেষ্টা গ্রহণ এবং কান্ট্রি অফিসসমূহসহ জাতিসংঘ ব্যবস্থাপনায় আভ্যন্তরীণভাবে এটি কার্যকর করার বিষয় উল্লেখ করেন।
[৮] নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ২০০০ সালে রেজ্যুলেশন-১৩২৫ গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখে।
[৯] বাংলাদেশ সরকার ডব্লিউপিএস এজেন্ডা বাস্তবায়নে গত বছর একটি জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
[১০] নারী শান্তিরক্ষীসহ বাংলাদেশ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদান রেখে চলেছে।
আপনার মতামত লিখুন :