শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ০৪:৪৩ সকাল
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ০৪:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের বর্ণাঢ্য জীবন

হ্যাপি আক্তার: [২] ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মানুষটি অন্যরকম। তার রুচি, চাওয়া-পাওয়া অন্য দশটা লোকের সঙ্গে মেলে না। দীর্ঘ একটা সময় ধরে ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে কাঙ্খিত আইনজীবী। অর্থ উপার্জন করেছেন দুই হাতে। কিন্তু তেমন কিছুই রাখেননি নিজের কাছে। সব দান করেছেন চিকিৎসা সেবায়।

[৩] একসময় নানা ইস্যুতে সরব ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। চলাফেরা করতে পারেন না। বাড়িতে থাকেন একাই। স্ত্রী গত হয়েছেন আগেই।

[৪] সমালোচনা-প্রশংসা করেছেন রাজনীতিবিদদের। কখনো কখনো তীর্যক কথাও শুনতে হয়েছে। বর্ণাঢ্য এক জীবন তার। কাজ করেছেন বাংলাদেশের সব প্রখ্যাত মানুষদের সঙ্গে। তবে আইনজীবী রফিক-উল সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন ওয়ান ইলাভেনের পর। শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনি লড়াই তাকে বিপুল পরিচিতি এনে দেয়। অসীম সাহসিকতার সঙ্গে তিনি রাজনীতিবিদদের পাশে এসে দাঁড়ান। ওই সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রায় সব নেতারই আইনজীবী ছিলেন তিনি। তবে তাদের নানা কর্মকাণ্ডে সমালোচনা করতেও পিছপা হননি।

[৫] ব্যারিস্টার রফিক-উল হক কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। এছাড়া জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্নে নানা আইন প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

[৬] রফিক-উল হকের জন্ম ২ নভেম্বর ১৯৩৩ সালে কলকাতার সুবর্ণপুর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাল্যকাল কেটেছে কলকাতার চেতলায়। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ১৯৫৮ সালে এলএলবি অর্জন করেন। ১৯৬০ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে বারের সদস্য হন। ১৯৬১ সালে ব্যারিস্টার (বার-এট-ল) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬২ সালে লিংকনস ইন -এ ডাক পান। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তৎকালীন পাকিস্তানের নাগরিক হয়ে ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসাবে ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালে তিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৯০ সালে তিনি দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত হন।

[৭] অবসরে বই পড়েন। আর ক্রিকেট খেলা দেখার প্রতি তার রয়েছে বিশেষ টান। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় তিনি দান করে দিয়েছেন তার জীবনের প্রায় সমস্ত আয়। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সুবর্ণ ক্লিনিক। ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাতেও ভূমিকা ছিল তার। বারডেম হাসপাতালে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ও নূরজাহান ওয়ার্ড, আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল ও আদ-দ্বীন হাসপাতালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

[৮] ২০০৬-০৮ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কটের সময় তত্কালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার অভিযোগ আনা হয়। ওইসময় তিনি তাদের দু’জনের পরামর্শক ছিলেন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়