এম আবুল হাসনাৎ মিল্টন: ঢাকার বাইরে একটা উপজেলা হাসপাতালের ঘটনা। কর্মক্ষেত্রে নারী চিকিৎসককে যৌন হয়রানির অভিযোগে পুরুষ চিকিৎসককে বদলি করা হলো। নিরাপত্তার খাতিরে নারী চিকিৎসককে জেলা সদরে প্রেষণে আনা হলো। পুরুষ চিকিৎসকের সে কী হম্বিতম্বি। আকাশে বাতাসে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলো, সাথে পরোক্ষ হুমকি-ধামকি তো আছেই। নোয়াখালির ধর্ষিতা নারীর মত নাকি অবস্থা করা হবে।
পুরুষটির অনেক ক্ষমতা। এক সপ্তাহের মধ্যেই সে বদলি হয়ে আবারও আগের জায়গার কাছে চলে এলো। এই যে নতুন অর্ডারে কাছে আসা- তার জন্য সে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে অভিনন্দন জানালো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনৈক পরিচালককে, আর তাদের সমিতির সভাপতিকে। লোক দেখানো একটা তদন্ত হলো বৈকি। সেখানে নারীটিকে বলা হলো, ‘কাজের ক্ষেত্রে একটু মানিয়ে চলতে হয়’।
তদন্ত শেষ হয়েছে কি না জানি না, তবে মেয়েটিকে এবার দুর্গম এলাকায় বদলি করা হলো। পুরুষশাসিত প্রশাসনে পুরুষের বিরূদ্ধে অভিযোগের মজা এবার হাড়ে হাড়ে টের পাক নারী। ফেসবুকের ইনবক্সের স্ক্রিনশটগুলো কোন প্রমাণই না। সাবাশ প্রশাসন। সাবাশ অধিদপ্তরের জনৈক পরিচালক। বারবার হুমকি পেয়ে নারী চিকিৎসকটি যখন ভয় পেয়ে পরিচালকের কাছে ছুটে গেছেন, তখন পরিচালক তাকে পরামর্শ দিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জনের ফরোয়ার্ডিং নিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বরাবর অভিযোগ পত্র জমা দিতে। অধিদপ্তর হয়ে সেই চিঠি কতদিনে সচিব বরাবর যাবে পরিচালক সাহেব?
যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণবান্ধব এমন পরিচালক ও সমিতির নেতাদের অভিনন্দন। এখন বুঝি, চারিদিকে এত ধর্ষণের উৎসব কেন! ছি পুরুষ পরিচালক! ছি সমিতির পুরুষ সভাপতি! পুনশ্চ: আশা করি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যাপারটি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে। অন্যথায়, বিষয়টি অনেক দূর গড়াতে পারে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :