শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ১০:০১ দুপুর
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ১০:০১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন: দলীয় ভিত্তিতে ইলেকশনের মাধ্যমে নির্বাচিতদের দিয়ে ভালো কিছু সম্ভব নয়

কামরুল হাসান মামুন: গুড নিউজ হলো শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় জালিয়াতি বা বহুল আলোচিত প্ল্যজারিজম সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে এবং সেটি ডিনস কমিটি পাসও হয়ে গিয়েছে। ব্যাড নিউজ হলো এইরকম একটি খসড়া নীতিমালা কীভাবে তৈরি হয় তা ভাবলে অক্কা পেতে মন চায়। খসড়াটি পড়ে কেবল একটি কথাই মনে হয়েছে যে, দলীয় ভিত্তিতে ইলেকশনের মাধ্যমে নির্বাচিতদের দিয়ে ভালো কিছু সম্ভব নয়। কারণ তাদের মাথায় থাকে ভোট পাওয়ার জন্য ঢ়ষবধংরহম করার বাসনা।

এই নীতিমালাটি পড়ে মনে হলো ২০ শতাংশ নকল বৈধ। ওয়াউ! মানে ২০ শতাংশ নকল করা পুরোপুরি খাতা-কলমে জায়েজ করে দেওয়া হলো। কিন্তু ২০ শতাংশ এর মধ্যেও যে নানা প্রকারভেদ থাকতে পারে সেটি কিন্তু কমিটি ধর্তব্যের মধ্যে নেয়নি। ধরুন একজন ইন্ট্রোডাকশনে ২০ শতাংশ নকল করলো আর অন্য আরেকজন রেজাল্ট এবং ডাটার মধ্যে ২০ শতাংশ নকল করলো। দুটো কি এক? রেজাল্ট এবং ডাটার মধ্যে ২০ শতাংশ নকলতো যঁমব ব্যাপার!

এই নীতিমালায় আবার বলা হয়েছে শিক্ষকদের এম.ফিল বা পিএইচডির থিসিসে যদি ৬০ থেকে ১০০ শতাংশ নকল হয়ে তাহলে তার ডিমোশন বা টারমিনেশন হতে পারে। কারণ দেখা যায় একটা থিসিসে নকলের হার বেশি হলেও কিন্তু তার অন্যগুলো ভালো হয়েছে; সেক্ষেত্রে হয় তো টারমিনেশন না দিয়ে ডিমোশন দেয়ার কথা বিবেচনা করবে বিশ্ববিদ্যালয়। ওয়াউ, ওয়াউ এবং ওয়াউ! আবার মাস্টার্সের থিসিসে যদি যদি ৬০ থেকে ১০০ শতাংশ নকল হয়ে তাহলে তার চাকরি টার্মিনেট করার সুপারিশ করা হয়েছে। মানে ছাত্রাবস্থায় চুরি করলে চাকরি ঘেচাং! কিন্তু একবার শিক্ষক হয়ে গেলে তারপর সে যদি এম.ফিল বা পিএইচডির থিসিসে যদি ৬০ থেকে ১০০ শতাংশ নকল করে তাহলে তার চাকরি যাবে না। খুব ইন্টারেস্টিং ব্যাপার তো। এখানে ধরে নেওয়া হয়েছে সব শিক্ষকই মাস্টার্স পাশই হবে শিক্ষক হওয়ার আগে শেষ ডিগ্রি তাই এম.ফিল বা পিএইচডির থিসিস করবে কেবল শিক্ষকরা। শিক্ষক হওয়ার পরে ওই পরিমাণ নকল করলেও চাকরি যাবে না। অথচ তখন শুধু চাকরি যাওয়া না সাথে তার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা করা উচিত যে সে ছাত্রদের মাঝে অনৈতিকতা ছড়িয়েছে।

আর ০ থেকে ২০ শতাংশ নকল করলে শিক্ষকদের বলেই দেওয়া হলো এটা কোন খারাপ কাজই নয়। আর ২০ থেকে ৪০ শতাংশ হলে আদর করে ডেকে এনে বলা হবে সোনামনি এতো বেশি করে না। নকলটাকে ২০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনো। নিচে খসড়া নীতিমালাটি সংক্ষেপে কাট ্ পেস্ট করলাম। মানে নকল করলাম :) খসড়া নীতিমালায় জালিয়াতি বা প্লাগিয়ারিজমকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে: জালিয়াতি অফ ফার্স্ট কাইন্ড: ০ থেকে ২০ শতাংশ নকল হলে সেটার জন্য ‘নো অবজেকশন’, ‘নো পেনাল্টি’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সেটার ক্ষেত্রে থিসিস বাতিল হবে না। কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে না। এ নিয়ম বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্যও প্রযোজ্য। জালিয়াতি অব সেকেন্ড কাইন্ড : ২০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য একমাস সময় বেধে দিয়ে থিসিসি সংশোধনের সুযোগ রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০ শতাংশের মধ্যে এনে থিসিস পুনরায় সাবমিট করতে বলা হয়েছে। এখানেও কোনো শাস্তি রাখা হয়নি। জালিয়াতি অফ থার্ড কাইন্ড: যাদের গবেষণায় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ নকল হলে একবছরের মধ্যে থিসিস জমা দিতে পারবে না। পরের ব্যাচের সাথে থিসিস জমা দিতে হবে।

জালিয়াতি অফ worst কাইন্ড: ৬০ থেকে ১০০ এর মধ্যে হলে দুই বছরের জন্য ডিবার করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই দুই বছরের মধ্যে তিনি থিসিস জমা দিতে পারবেন না। তবে থিসিস সংশোধন করে নকলের পরিমাণ ২০ শতাংশ বা তারও কমে নামিয়ে এনে দুই বছর পরে তা জমা দিতে পারবেন। তবে শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তাদের জন্য রাখা হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে তাদের শাস্তি হলো ‘টারমিনেশন’ বা অব্যাহতি কিংবা ডিমোশন (পদাবনতি)। এম.ফিল বা পিএইচডির থিসিস হলে তার ডিমোশন বা টারমিনেশন হতে পারে। কারণ দেখা যায় একটা থিসিসে নকলের হার বেশি হলেও কিন্তু তার অন্যগুলো ভালো হয়েছে; সেক্ষেত্রে হয় তো টারমিনেশন না দিয়ে ডিমোশন দেয়ার কথা বিবেচনা করবে বিশ্ববিদ্যালয়। তবে শিক্ষকদের কারো মাস্টার্সের থিসিস নকল হলে সেক্ষেত্রে তাকে টারমিনেট করা হবে। কারণ তিনি তো মাস্টার্সের থিসিসেই চাকরি পেয়েছেন। এক্ষেত্রে ‘অল বেনিফিট সাসপেন্ড’ হলে তো অটোম্যাটিক্যালি তার চাকরিই চলে যায়। অর্থাৎ ওই ডিগ্রির জন্য যে সুবিধা পেয়েছেন সেটা ফেরত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেটা ফেরত নিলে তো তার চাকরিই থাকে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়