লিহান লিমা: [২] লিবিয়ার প্রত্যেক এলাকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়েছে যুদ্ধেরত দুইপক্ষ। শুক্রবার ফেসবুক লাইভে লিবিয়ার জাতিসংঘ মিশন দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। রয়টার্স/আল জাজিরা
[৩]জাতিসংঘের দূত স্টেফানি টুরকো উইলিয়ামের নেতৃত্বে যৌথ সামরিক কমিশন এই চুক্তিকে উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে শান্তি স্থাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছে।
[৪] স্টেফানি উইলিয়াম জানান, খুব শীঘ্রই যুদ্ধবিরতির সব প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং চুক্তির আওতায় সব বিদেশী যোদ্ধা আগামী তিন মাসের মধ্যে লিবিয়া ছাড়বেন। সেই সঙ্গে যুদ্ধের শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুতরা নিজেদের বসতিতে ফিরতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিতর্কিত এলাকাগুলোতে দুই পক্ষের যৌথ পুলিশ ফোর্স কাজ করবে।
[৫] চুক্তির আওতায় গত একবছরে এই প্রথমবারের মতো শুক্রবার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পূর্বাঞ্চলের শহর বেনগাজিতে একটি বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট যাত্রা করে।
[৬] ২০১১ সালে আরব বসন্তে ন্যাটো সমর্থিত গোষ্ঠি লিবিয়ার দীর্ঘদিনের একনায়ক মোহাম্মদ গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। ২০১৪ সালে জাতিসংঘের নেতৃত্বে লিবিয়ায় গভমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকোর্ড (জিএনএ) গঠিত হয়। জিএনএ দেশটির পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়া জেনারেল হাফতার সমর্থি গোষ্ঠি (এলএনএ) বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ত্রিপোলি সরকার দেশকে একত্র করার লক্ষ্যে কাজ করলেও হাফতার নিজেই ক্ষমতা চাইছেন।