শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৩৫ দুপুর
আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোভিডে ভারতীয় প্রবাসীদের আমানত বেড়েছে

রাশিদ রিয়াজ : গত ৫ বছরে এটি সর্বোচ্চ। কোভিডে বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতীয় ফিরে আসতে শুরু করলে তাদের আমানত বাড়লেও ফের তারা বিভিন্ন দেশে কাজে ফিরে যাচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার তথ্যে বলা হচ্ছে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে প্রবাসী ভারতীয়রা তাদের এনআরআই ধরনের এ্যাকাউন্টে ৪.৮৬ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৪.০৪ বিলিয়ন ডলার। তবে গত এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ভারতীয় প্রবাসীরা তাদের এনআরই ধরনের এক্যাউন্টে পাঠিয়েছেন ৬.০৪ বিলিয়ন ডলার যা গত বছরের একই সময়ে ছিল আড়াই বিলিয়ন ডলার। দি প্রিন্ট

ভারতীয় প্রবাসীরা ব্যাংকে তিন ধরনের আমানত এ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠাতে পারেন। এগুলো হচ্ছে এনআরআই বা পিআইও অর্থাৎ পারসন্স অব ইন্ডিয়ান অরিজিন, এনআরই অর্থাৎ নন-রেসিডেন্ট এক্সটারনাল-রুপি এ্যাকাউন্ট এবং এনআরও বা নন-রেসিডেন্ট অর্ডিনারি রুপি এ্যাকাউন্ট। ভারতীয় প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি আমানত পাঠান এনআরই এ্যাকাউন্টে। ভিন্ন ধরনের এ্যাকাউন্ট সুবিধায় ভারতীয় নাগরিকরা রুপি বা বিদেশি মুদ্রা আমানত হিসেবে লেনদেনের সুযোগ পান। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে শুধু এনআরই এ্যাকাউন্টেই ৬.০৪ বিলিয়ন ডলার এলেও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সবধরনের এ্যাকাউন্টে একই সময়ে প্রবাসী ভারতীয়দের পাঠানো মোট নগদের পরিমান ছিল সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার।

ফেডারেল ব্যাংকের নির্বাহি পরিচালক আশুতোষ খাজুরিয়া বলেন কোভিডের কারণে এবছরটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ অনেক ভারতীয় প্রবাসী নাগরিক ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে না পেরে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলোতে অনেক ভারতীয় নাগরিকত্ব না পেয়ে দেশে ফিরেছেন। তারা ফিরে আসার সময়ে সেই ধরনের এ্যাকাউন্টেই আমানত পাঠান যা ইচ্ছে করলে পরে প্রত্যাবাসন করে নেয়া যেতে পারে। চাকরি পেয়ে গেলে বা স্থায়ী বসবাসের সুবিধা পেলে ভারতীয় প্রবাসীরা বিদেশি মুদ্রা আমানত রাখতে পছন্দ করেন। অবশ্য কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তারা ফের বিদেশে যেতে শুরু করেছেন এবং এর ফলে তাদের আমানতও হ্রাস পাবে। গত জুলাইতে এনআরই এ্যাকাউন্টে প্রবাসী ভারতীয়দের আমানত ১.৫৪ বিলিয়ন বৃদ্ধি পেলেও আগস্টে তা হ্রাস পায় ৪৮৫ মিলিয়ন ডলারে। আবার বিদেশি মুদ্রা আমানত রাখার যে সুযোগ এফসিএনআর-বি এ্যাকাউন্টে রয়েছে তা এপ্রিল থেকে আগস্টে ১.৭ বিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়ায় যা চলতি অর্থবছরের শুরুর ৫ মাসে ছিল ৭২৫ মিলিয়ন ডলার। এই এ্যাকাউন্টে সুদের হারও বিশ^ব্যাপী আন্তর্জাতিক হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য। আন্তর্জাতিক মুদ্রার তুলনায় রুপির মান হ্রাস পেলে নগদের পরিমান যখন বেশি পাওয়া যায় তখন ভারতীয় প্রবাসিরা তা তুলে নিতে উদ্বুদ্ধ হন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়