শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ০৫:০৩ সকাল
আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ০৫:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ৫০ ঘণ্টা সার্জারিতে জোড়া মাথা আলাদা

হ্যাপি আক্তার: [২] সাফা ও মারোয়া পাকিস্তানের সাড়ে তিন বছরের জোড়া মাথার এই জমজ শিশু দুটিকে সফলভাবে আলাদা করা হয়েছে লন্ডনের একটি হাসপাতালে। গ্রেট অর্মন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে তাদের চিকিৎসার খরচ দেন একজন ব্যবসায়ী। বিবিসি বাংলা

[৩] পাকিস্তানী জমজ শিশু দুটি জোড়া মাথা নিয়ে জন্মেছিলো। মারোয়া ও সাফাকে লন্ডনে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলাদা করা হয়েছিলো।

[৪] সাফা ও মারোয়ার মা জয়নাব বিবি বলেন, আল্লাহকে ধন্যবাদ, দুজনেই খুব ভালো আছে। তাদের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
মারোয়ার অনেক উন্নতি হয়েছে, আর এখন সামান্য সহায়তা দরকার। সৃষ্টিকর্তা চাইলে সে দ্রুতই হাঁটা শুরু করবে। আমরা সাফার দিকে লক্ষ্য রাখছি এবং তার ভালো যত্ন নেবো, সেও হাঁটা শুরু করবে।

[৫] তাদের মাথাটি একটি লম্বা নলের মতো সাফা ও মারোয়ার খুলি যুক্ত ছিলো। তাদের ব্রেইন ছিলো বিকৃত ও জড়ানো। সেটি আলাদা করতে চিকিৎসক ও জৈব জিজ্ঞানীদের বড় একটি দল কাজ করেছেন। এটির জন্য ৫০ ঘণ্টা সার্জারি করতে হয়েছিলো, যা চার মাস ধরে চলেছিলো।

[৬] দ্বিতীয় অপারেশনের সময় মারোয়া প্রায় মারাই যাচ্ছিলো। এজন্য যুক্ত রক্তনালীর বেশির ভাগটা তাকে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু এর জন্য সাফার একটি স্ট্রোকও হয়েছিলো। এখন তার বাম পাশে দুর্বলতা আছে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকলতা কাজ করছে।

[৭] প্রধান সার্জন ওয়াসে জেলানি বলেন, আমি মনে করি মারোয়া খুবই ভালো করছে এবং ভালো উন্নতি করছে। আমি যখন পুরো পরিবারটির দিকে তাকাই, হ্যাঁ, আমি সম্ভবত ঠিক জিনিসটাই করছি। ওই পরিবারটির জন্য কিন্তু ব্যক্তি সাফার জন্য আমি নিশ্চিত নই। সার্জজন হিসেবে এটাই আমার সিদ্ধান্ত, একটি টিম হিসেবে এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। আর সিদ্ধান্ত নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে।

[৮] যুক্তরাজ্যে দুই বছর থাকার পর ওই পরিবারটি এখন পাকিস্তানে ফিরেছে। তিন বছরের শিশু দুটি শেখার ক্ষেত্রে ও শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। কিন্তু তাদের মা তাদের নিয়ে আশাবাদী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়