আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বাঙালি ভোটারদের আকৃষ্ট করতে গুজরাটি মোদী এবার আধো বাংলায় ভাষণ দিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরু করেন বাংলায়। বাঙালির দুর্গাপূজার সময় গোটা ভারত ‘বাংলাময়’ হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মোদী বলেন, ‘দুর্গাপূজার উৎসব ভারতের একতা ও পূর্ণতার উৎসব। বাংলার দুর্গাপূজা ভারতের ভারতের পূর্ণতাকে এক নতুন ঔজ্জ্বল্য দেয়।’ আনন্দবাজার
[৩] পরে হিন্দিতে চলে যান মোদী। তবে নানা ক্ষেত্রের বাঙালি মনিষীদের নাম স্মরণ করেন। বাংলা বরাবর ভারতকে পথ দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন। আর মাঝেমধ্যেই উচ্চারণ করেছেন বাংলা কবিতার পংক্তি। কখনও ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’, কখনও ‘মায়ের দেয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই’, আবার কখনও ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে থেকে। দুর্গামন্ত্র উচ্চারণ করে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। এনডিটিভি
[৪] এ ভাষণ সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক বিষয়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে বাংলা তথা পূর্ব ভারতের জন্য বিজেপি সরকার কী কী করেছে এবং আরও কী কী করতে চায়, সে প্রসঙ্গেও পৌঁছেছে। তঁর সরকার এখন ‘পূর্বোদয়’-এর নীতি নিয়ে চলছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। সেই লক্ষ্য পূরণে বাংলাকে বড় ভূমিকা নিতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
[৫] ভাষণের শেষ অংশে ফের বাংলা ভাষায় ফেরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। গোটা বাংলাকে দুর্গোৎসব, কালীপুজো এবং দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান। একেবারে শেষে বলেন, ‘বাংলা ভাষার মিষ্টতা এতটাই যে, আমি জানি উচ্চারণে কিছু না কিছু ঘাটতি থেকেই যায়। কিন্তু তবু বাংলা বলার মোহ অগ্রাহ্য করতে পারলাম না। ত্রুটি থাকলে ক্ষমা করে দেবেন।’