রাশিদুল ইসলাম : [২] ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক জন র্যাটক্লিফ বলেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবান্বিত করতে ইরান ও রাশিয়াকে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এদুটি দেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের তথ্য রয়েছে। ডেমোক্রেটিক ভোটারদের হুমকি দিয়ে মেইল পাঠানোর পেছনে ইরানের হাত আছে। সিএনএন
[৩] বুধবার সন্ধ্যায় দেয়া এক বক্তব্যে র্যাটক্লিফ বলেন, ওই ই-মেইলগুলো কট্টর ডানপন্থী গ্রুপের আদলে এসেছে। ইরান এবং রাশিয়ার কাছে কিছু ভোটারের নিবন্ধন তথ্য রয়েছে। ভোটারদের এসব তথ্য গুজব ছড়ানো বা ভুলভাবে অন্য কোনো কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। এতে নির্বাচনে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে ও মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা হ্রাস পাবে।
[৪] র্যাটক্লিফ জানান সৌদি আরব, আমিরাত, এস্তোনিয়া, সিঙ্গাপুরের সার্ভার ব্যবহার করেও মার্কিন ভোটারদের ইমেইলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যে ভোটারদের তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায় বা আবেদন করতে হয়। ইরান থেকে পাঠানো ইমেইলে নির্বাচনে বিভ্রান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যে উস্কানি দেয়া হচ্ছে। দেশটি থেকে একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে দেশটির নির্বাচনে ব্যালট কারচুপি করা যায়।
[৫] ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল। রাশিয়া তা অস্বীকার করে। সে সময় ডেমোক্রেট কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করা হয়েছিল। এধরনের প্রভাব সৃষ্টির লক্ষ্য থাকে নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর অনাস্থা সৃষ্টি করা।
আপনার মতামত লিখুন :