ড. এমদাদুল হক: বেশ বড় একটি পাথর পড়ে আছে রাজপথে। রাজা লুকিয়ে-লুকিয়ে দেখছেন, তার রাজ্যে কে আছে এমন যে পাথরটি সরাবে? রাজা দেখলেন- ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, মোল্লা, পুরোহিত সবাই পাথরটি পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন। অনেকেই রাস্তা পরিষ্কার না রাখার জন্য রাজাকে গালিগালাজ করলো, কিন্তু কেউ পাথরটি সরানোর চেষ্টা করলো না। এক কৃষক সবজি নিয়ে যাচ্ছিলো বাজারে। সে তার বোঝাটি নামিয়ে পাথরটি সরানোর প্রাণপণ চেষ্টা করলো। অনেক ধাক্কাধাক্কি ও টানাটানির পর সে পাথরটি সরাতে সক্ষম হলো। কৃষক দেখলো পাথরের নিচে পড়ে আছে একটি থলে। থলের ভেতর অনেক স্বর্ণমুদ্রা ও রাজার মোহর খচিত পত্র। পত্রে লেখা আছে, ‘এই স্বর্ণ মুদ্রাগুলো তারই প্রাপ্য, যে পাথরটি সরিয়েছে’।
চলার পথে বাধা আসবেই। জীবন যতোবেশি বাধার সম্মুখীন হয়, ততোবেশি পরিশুদ্ধ হয়। প্রত্যেক বাধা অপসারণের মাধ্যমেই স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া যায়। শক্তি পাওয়া যায় বাধার মুখোমুখি হলে। জ্ঞান পাওয়া যায় সমস্যার সমাধান করলে। ধন পাওয়া যায় বুদ্ধি খাটিয়ে পরিশ্রম করলে। সাহস পাওয়া যায় বিপদের মোকাবেলা করলে। প্রেম পাওয়া যায় সহযোগিতা করলে। বাধা না সরালে কিছুই পাওয়া যায় না জীবনে- এটিই পরমাপ্রকৃতির শাশ্বত বিধান। স্বয়ং বিধাতাও এই বিধানের বাইরে নন। সুতরাং বিধাতার কাছে সাবধানে প্রার্থনা করা উচিত। কারণ তাঁর কাছে জ্ঞান চাইলে তিনি সমস্যায় ফেলে দিবেন, সাহস চাইলে বিপদ বাড়িয়ে দেবেন। বিধাতার কাছ জ্ঞান চাইলেই যদি জ্ঞান পাওয়া যেতো, তবে জ্ঞানীরা হতো অপদার্থ; ধন চাইলেই যদি ধন পাওয়া যেতো, তবে ধনীরা হতো অলস অকর্মন্য; সাহস চাইলেই যদি সাহস পাওয়া যেতো, তবে সাহসীরা হতো কাপুরুষ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :