মোহাম্মেদ শরিফ: পূর্ববঙ্গের বাঙালদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ‘ঘটি-দাদারা ভাবেননি ৪৭ সালে। গুটিকয়েক পাঞ্জাবী-আফ্রিদি হায়ানাদের মুখে তুলে দিয়েছিলো। পাকিস্তান থেকে এগিয়ে যাওয়াতে প্রমাণিত হয়েছিলো যে, বঙ্গবন্ধু যে শোষণ-নিপীড়নের যুক্তি তুলে ধরতেন, সেটা সঠিক কোনো বকওয়াজ নয়। বর্তমান সূচকে আপাতত। ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়াতে দাদারা নয়, গোটা ভারতবাসীর টনক নড়েছে এই ভেবে যে, ৪৭ সালে যাদের ব্রাত্য ভাবা হয়েছিলো, তারা কোনোদিনই তা ছিলো না। বাংলার অর্থনীতির ইতিহাস কিছুটা শশী থারু তার লেখায় আলোকপাত করেছেন। কাপড়ের শিল্পের সঙ্গে বর্তমান গার্মেন্টের যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করেছেন।
বাংলার সম্পদ না থাকলে ঐতিহাসিকভাবে এতো এতো লুটেরা বাংলায় এসেছিলো কেন? মানে বাংলা এক সময় সম্পদশালী ছিলো। আমার টার্গেট সেই গৌরবের জায়গায় পৌঁছানো। সর্বোপরি বাংলার মানুষের আদল, গড়ন, অবায়বের মাঝে যে বৈচিত্র্যতা তা হয়েছে কর্মের সুবাদে শুধু গোটা ভারত থেকেই নয়, বিশ্বের নানা স্থান থেকেও এই অঞ্চলে লোকজন বসতি স্থাপন করায়। অতি সাম্প্রতিককালে বন্দর, রেলওয়ে, চা শিল্প, জুট মিলের সুবাদেও বহু লোকের সমাগম ঘটেছিলো চাকরির সূত্রে। শুধুমাত্র গার্মেন্টস দিয়ে আমি তৃপ্ত হয়ে রাজি নই। এটা টেকসইও নয়, আকার-আয়তনেও ক্ষুদ্র। কোনো এক জায়গা থেকে শুরু করতে হয়। সেটা মন্দের ভালো। এতে তুষ্ট, তৃপ্তি হওয়া চলে না। পাকিস্তান-ভারত থেকে এগিয়ে গেলেও না। বাংলার গৌরব ফিরিয়ে আনতে গেলে আরও বৃহত্তর পরিসরে ভাবতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :