শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:৪৩ সকাল
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চূড়ান্ত বিতর্কে আজ মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প-বাইডেন

ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ডেমোক্র্যাট প্রতিপক্ষ জো বাইডেন আজ শেষবারের মতো প্রাক-নির্বাচনী বিতর্কে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় অনুযায়ী আজ রাতে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে ভার্চুয়ালি আয়োজন করার কারণে দ্বিতীয় দফার বিতর্কে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনেকটা ওয়াকওভার পেয়ে জিতে যাওয়ার মতো করেই নির্বাচনী লড়াইয়ে এগিয়ে যান জো বাইডেন। ফলে আজ অনেকটা পিছিয়ে থাকা অবস্থায়ই বাইডেনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম বিতর্কে জো বাইডেন বক্তব্য দেয়ার সময়ে বারবার বাধা দিচ্ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে কার্যত ওই বিতর্ক কাদা ছোড়াছুড়িতে রূপ নেয়। এ অবস্থায় আজকের বিতর্কের জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। নতুন এ নিয়ম অনুযায়ী, দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর একজন বক্তব্য দেয়ার সময় অন্যজনের সামনের মাইক্রোফোনটি বন্ধ করে দেয়া হবে, যাতে কেউ কারো বক্তব্যে বাধা দিতে না পারেন। বিষয়টিকে ট্রাম্পের সহজাত প্রবৃত্তির বিপরীত হিসেবে বিবেচনা করছে মার্কিন গণমাধ্যম। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো মনে করছে, এ কারণে আজকের বিতর্কেও মানসিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩ নভেম্বর। রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোটারদের যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে সহায়তার উদ্দেশ্য থেকে প্রার্থীদের মধ্যে বিতর্কের আয়োজন করা হয়। প্রথম বিতর্কটি কাদা ছোড়াছুড়িতে শেষ হওয়ার পর উভয় প্রার্থীর মধ্যকার দ্বিতীয় বিতর্কটি উত্তেজনাপূর্ণ হবে বলেই ধরে নিয়েছিলেন মার্কিন ভোটাররা। তবে এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। বিতর্কের নির্ধারিত দিন ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে সংক্রমণমুক্ত ঘোষিত না হওয়ায় তা ভার্চুয়ালি আয়োজনের উদ্যোগ নেয় কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ভার্চুয়াল বিতর্কে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তা বাতিল করা হয়। ওই সময় ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির থেকে দ্বিতীয় বিতর্কটি আজ এবং তৃতীয় ও চূড়ান্ত বৈঠকটি ২৯ অক্টোবর আয়োজনের প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে নির্বাচনের ঠিক আগে আগে হওয়ায় সে প্রস্তাব আর হালে পানি পায়নি। অন্যদিকে বিতর্কের রাতে অবসর পেয়ে বাইডেনও সময়টিকে কাজে লাগিয়েছেন মার্কিন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেকটা ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার এ সুযোগ বাইডেনকে নির্বাচনী লড়াইয়ে অন্তত ওই মুহূর্তের জন্য অনেকটাই এগিয়ে দেয়।

মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, দ্বিতীয় বিতর্কে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ট্রাম্প ওইদিন কার্যত বাইডেনকে জিতিয়ে দিয়েছেন। ১৫ অক্টোবরের বৈঠকে অংশ না নিলেও ট্রাম্প পরদিন হোয়াইট হাউজের বারান্দা থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। মহামারীর মধ্যে হোয়াইট হাউজ প্রাঙ্গণে এ ধরনের জনসমাগমপূর্ণ কর্মসূচি আয়োজনের কারণে বেশ সমালোচিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে গত মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম বিতর্কে ট্রাম্পের আচরণের কারণে টেনেসির ন্যাশভিলে অনুষ্ঠেয় আজ রাতের বিতর্কের নিয়মই বদলে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি ট্রাম্পকে বিতর্কে অস্বস্তিতে ফেলে দিতে পারে বলে ধারণা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের। কারণ ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগের বিতর্কগুলোতেও প্রতিপক্ষের বক্তব্যে যুদ্ধংদেহী ভঙ্গিমায় বাধাদান ও কথার পিঠে কথা বলে বক্তব্যের আলোচনা ঘুরিয়ে দেয়ার কৌশল অবলম্বন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমালোচকদের অভিযোগ, বিপক্ষের প্রার্থী যাতে নিজস্ব বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরতে না পারেন, সেজন্যই এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করেন তিনি।

এদিকে আজকের প্রাকনির্বাচনী প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে কভিড-১৯ প্রতিরোধ, মার্কিন পরিবার, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সম্প্রদায়, জলবায়ু পরিবর্তন, জাতীয় নিরাপত্তা ও নেতৃত্ব। এসব বিষয়বস্তু নিয়ে ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির থেকে এরই মধ্যে আপত্তি তোলা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইছেন, বিতর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আলোচনা করতে।

এ বিষয়ে কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটকে উদ্দেশ করে ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবিরের ব্যবস্থাপক বিল স্টেপিয়েনের লেখা এক পত্রে বলা হয়, বিতর্কের জন্য যেসব বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলো গুরুতর ইস্যু ও আলোচনার দাবিদার। কিন্তু এগুলো নিয়ে প্রথম বিতর্কেই একটু একটু করে আলোচনা হয়েছিল। দীর্ঘদিনের রেওয়াজ ও কমিশনের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে আমাদের ধারণা ছিল, ২২ অক্টোবরের বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হবে মূলত পররাষ্ট্রনীতিকে কেন্দ্র করে। এ কারণে আমরা বিতর্কের বিষয়বস্তু নতুন করে সাজানোর অনুরোধ করছি।

সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতিকে আজকের বিতর্কের মূল কেন্দ্রে নিয়ে আসতে চাওয়ার প্রধান কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের মহামারী পরিস্থিতি, অর্থনীতি, বর্ণবাদ, জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত গুরুতর সমস্যাগুলো মোকাবেলায় তার ব্যর্থতা। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্রনীতিই হলো একমাত্র জায়গা, যেখানে ট্রাম্প কিছুটা সফলতা অর্জন করেছেন।

অন্যদিকে বাইডেনের শিবির থেকে ট্রাম্পের মুখপাত্রের এ দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, কয়েক মাস আগেই উভয় শিবির ও কমিশন ঐকমত্যে পৌঁছেছিল, বিতর্কের মডারেটরই বিষয়বস্তুগুলো নির্ধারণ করে দেবেন। ট্রাম্প শিবির থেকে এখন এ নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। কারণ এ মুহূর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভয় পাচ্ছেন, তাকে হয়তো নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় ব্যর্থতার বিষয়টি নিয়ে আরো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে।বণিক বার্তা

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়