সুজন কৈরী: মা ইলিশ সংরক্ষণে গত ১৪ অক্টোবর থেকে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে নৌ পুলিশ। ১৪০টি স্পীডবোট দেশের বিভিন্ন নদী পয়েন্টে কাজ করছে। কোনো জেলে যেন স্থান পরিবর্তন করতে না পারে সে জন্য, নৌ পুলিশ নদীতে টহল দিচ্ছে।
বুধবার নৌ পুলিশের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গত ১৪ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চালানো হচ্ছে। ১৪০টি স্পীডবোট দেশের বিভিন্ন নদী পয়েন্টে কাজ করছে। কোনো জেলে যেন স্থান পরিবর্তন করতে না পারে সে জন্য, নৌ পুলিশ নদীতে টহল দিচ্ছে। ৩৭১টি বরফ কলের তালিকা তৈরি করে তাদের বরফ উৎপাদন করতে নিষেধ করেছে। এছাড়া ককশীট প্রস্তুতকারী দোকানগুলোর উপর বিশেষ নজরদারী রাখা হচ্ছে। কোনো অসাধু ব্যক্তি যেন ককশীট ও বরফের মাধ্যমে মাছ মজুদ রাখতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারী রাখছেন নৌ পুলিশের সদস্যরা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মা ইলিশ রক্ষায় নৌ পুলিশের অভিযানে গত ১৪ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৭ দিনে ২৩ লাখ ২১ হাজার টাকা মূল্যের ৪ হাজার ৬৪২ কেজি মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১০৩ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৮৪ হাজার ৭৭০ মিটার কারেন্টসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ জাল উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানকালে ২০১ জন জেলেকে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে ৫২টি মামলা, ৮০৭ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানা এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৪৬ জনকে মুচলেকার মাধ্যমে খালাস দেয়া হয়েছে।
নৌ পুলিশ জানায়, বরাবরই অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চালায় নৌ পুলিশ। চলতি বছর আরও নতুন উদ্যোগ ও উদ্যমে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান চালানো হচ্ছে। এবারই প্রথম এয়ারফোর্সের সমন্বয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণে কাজ করেছে নৌ পুলিশ। এর আগে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হতো।
নৌ পুলিশ আরও জানায়, গত ১৪ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বহন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদের উপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে এ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নৌ পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :