আসিফুজ্জামান পৃথিল: [৩] সোমবার করাচীতে নওয়াজ শরীফের জামাতা ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ সফদারের গ্রেপ্তার নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। পাকিস্তানের প্রভাবশালি দৈনিক ডন জানায়, আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা সিন্ধু প্রদেশের আইজিপিকে অপহরণ করে নিয়ে ক্যাপ্টেন (অব.) মোহাম্মদ সফদার, নওয়াজ কন্যা মরিয়ম ও ২শ’ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি আদেশে স্বাক্ষর নেয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, রোববার জিন্নাহ মাজারে গিয়ে স্লোগান দিয়ে পবিত্রতা ক্ষুণ্ন করেছেন তারা। তার নেতৃত্বে ছিলেন মোহাম্মদ সফদার। ওই দিনই অবশ্য আদালতে জামিনও পেয়ে যান তিনি।
[৪] পরবর্তীতে মঙ্গলবার সিন্ধুর আইজিপি মোস্তাক মেহেরসহ ১৬ জন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা দীর্ঘ ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। অবশ্য ওইদিন গভীররাতে এক বিবৃতিতে আইজিপি মোস্তাক মেহের আপাতত ছুটি না নেয়ার কথা জানান এবং জাতীয় স্বার্থে তার কর্মকর্তাদের আপাতত ১০ দিনের জন্যে ছুটি না নিতে নির্দেশ দেন। ডন।
[৫] নওয়াজ কন্যা ও মুসলিম লীগের সহ সভাপতি মরিয়মও অভিযোগ করেছেন, সিন্ধুর আইজিপি মোস্তাককে রেঞ্জাররা অপহরণ করে সেক্টর কমান্ডারের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তারি আদেশে স্বাক্ষরে বাধ্য করে।হিন্দু, আনন্দবাজার।
[৬] বুধবার সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, রাজ্য সরকার সিন্ধু পুলিশের পাশে আছে। বর্তমানে পুলিশ শান্তি প্রতিষ্ঠায় চরম আত্মত্যাগ করে যাচ্ছে। এআরওয়াই।
[৭] পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলওয়াল সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া ও আইএসআই প্রধানকে ঘটনা তদন্তের তাগিদ দিলে জেনারেল বাজওয়া পুরো বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
[৮] বুধবার দেশটির পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী সিবলি ফারাজ রাষ্ট্রীয় দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টার জন্যে বিরোধী দলের তীব্র নিন্দা করেছেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :