শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২০, ০৮:৪০ সকাল
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২০, ০৮:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] নন্দীগ্রামে আমন ধান রক্ষায় ব্যস্ত কৃষক

জিল্লুর রয়েল: [২] গুড়ার নন্দীগ্রামে আমন ধান রক্ষায় ব্যস্ত কৃষকেরা। আর ১৫-২০ দিন পর হতে আমন ধান পুরোদমে কাটামাড়াইয়ের কাজ শুরু হবে। এখন আমন ধানের থোড়, ফুল, দুধ ও দানা গঠন পর্যায়ে রয়েছে। ঠিক এমন সময়েই ফসলী জমিতে মাজরাপোকা ও কারেন্টপোকার আক্রমণ হয়ে থাকে। উপজেলার অনেক মাঠে মাজরাপোকা ও কারেন্টপোকার আক্রমণ হয়েছে। ফসলী জমির যত্ম নিতে ব্যস্ত রয়েছে কৃষকেরা। মাজরাপোকা, ছত্রাক ও বালাইদমনে পূর্বপ্রস্ততি রেখেছে কৃষকেরা।

[৩] বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলাকে শস্যভান্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়। এ উপজেলার ফসলী জমির মাটি অনেক ঊর্বর। সে কারণে বছরে ৩ বার ভালোভাবে ধানের চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি রবিশস্যরও চাষাবাদ করা হয়।

[৪] চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮২ হাজার ৯৬২ মেট্রিকটণ ধান। এ উপজেলায় ব্রিধান-৪৯, ব্রিধান-৩৪ ও কাটারিভোগসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করেছে কৃষকরা।

[৫] উপজেলার বিভিন্ন মাঠের ফসলী জমির চিত্র অনেক ভালো দেখা গেলেও ফসলী জমিতে মাজরাপোকার আক্রমণ হয়। কৃষকের আতঙ্কই হচ্ছে মাজরাপোকা ও কারেন্টপোকা। মাজরাপোকা ও কারেন্টপোকার কবল থেকে ফসলী জমি রক্ষা করতে কীটনাশক স্প্রে করতে ব্যস্ত কৃষকেরা।

[৬] কৃষকরা বলছেন, একেক জন ৬ থেকে ৪০ বিঘা জমি পর্যন্ত আমন ধানের চাষ করেছেন। মাজরাপোকার আক্রমণে পার্চিং পদ্ধতি তেমন উপকার না আসায় আগাম কীটনাশক স্প্রে করছেন তারা। ফলে, ফসলী জমি বেশ ভালো রয়েছে। আর কোনো বালামুসিবত না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা কৃষকদের।

[৭] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কাজ করে আসছি। কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এবারো আমন ধানের ফসলী জমির চিত্র অনেক ভালো রয়েছে। ফসলী জমিতে মাজরাপোকার আক্রমণ তেমন নেই। মাজরাপোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশাকরি এবারো আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। আমন ধানের বাম্পার ফলন হলে কৃষকরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।

[৮] এ উপজেলার কৃষকদের উৎপাদিত ধান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পেলে আরো বেশি খুশি হয়। কৃষকের সাথে বেশিরভাগ সময় সম্পৃক্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।

[৯] উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, কৃষকের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা কৃষকের ধানক্ষেত দেখে আসছি। ধানক্ষেত দেখে পরামর্শ দিয়ে থাকি। যাতে ভালোভাবে ফসল ঘরে তোলা যায়। এখন আমরা মাঠে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছি। ১৫-২০ দিন পর আমন ধান কাটামাড়াইয়ের কাজ শুরু হবে। তখন কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। আশাকরি কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাবে। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়