ফজলুল হক: [২] বন্যায় মাছ ভেসে যাওয়ায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ছোট-বড় প্রায় ১ হাজার ২’শ মৎস্য চাষি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এতে আনুমানিক প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া অবকাঠামোগতও ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মোঃ সলিমুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।
[৩] ক্ষতিগ্রস্থ অধিকাংশ মাছচাষিরা বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও, সমিতি ও স্থানীয় সুদ কারবারিদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে টাকা নিয়ে মাছ চাষ করেছেন। বন্যায় মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকে আবারো বড়ধরনের ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়বেন। ক্ষতিগ্রস্থরা সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতার কামনা করেন।
[৪] সরেজমিনে দেখা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলা মৎস্য অফিস হিসাব অনুযায়ী এবার বন্যায় উপজেলায় ছোট বড় মিলে ১২’শ মৎস্য খামার পানিতে ভেসে গেছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে সূত্রাপুর, ঢালজোড়া, চাঁনপুর, চাবাগান, ফুলবাড়িয়া, চাপাইর, বড়ইবাড়ি, নামাশুলাই অধিকাংশ পুকুরের পাড় পানিতে তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। কোনো কোনো পুকুরের পাড়ের ওপর দিয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট পানি হয়েছে। অনেকে পুকুরের চারপাশে জাল ও বাঁশের বানা দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। তলিয়ে যাওয়া পুকুরগুলো একেবারে মাছশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে।
[৫] উপজেলার চাপাইর গ্রামের মো.কামাল হোসেন মাছচাষি, উপজেলার টেকিবাড়ি চাঁনপুর মো দেলোয়ার বলেন, দুটি পুকুরে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাংগাস, পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলাম। বন্যায় পুকুর তলিয়ে সম্পূর্ণ মাছ ভেসে গেছে। জাল দিয়ে আটকাতেও সুযোগ পায়নি। এতে প্রায় ৫ থেকে ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
[৬] উপজেলা মৎম্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মোঃ সলিমুল্লাহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ মাছচাষিদের তালিকা করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এবং চাষিদের সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :