তৌহিদুর রহমান, এএইচ রাফি:[২]বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করে করেন তারা। ২০১৭ সালের ১ মার্চ রাতে নবীনগর উপজেলার জগন্নাথপুরে সাবেক বিজিবি সদস্য ইয়াছিন মিয়া ও তার ভায়েরা ভাই খন্দকার এনামুল হককে হত্যা করা হয়৷
[৩] সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত খন্দকার এনামুল হকের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের পর থানায় মামলা নেয়নি। পরে আদালতে ২৬জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর আদালত সিআইডিকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদনে ২৬জন আসামি ছাড়াও আরও দুইজন আসামিসহ মোট ২৮ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত সকল আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। এরমধ্যে ১২জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জামিন লাভ করেন। বাকী ১৬জন আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলেও এখনো তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এমনকি পুলিশ সুপার নির্দেশ প্রদান করলেও নবীনগর থানা পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না।
[৪] তাছলিমা আক্তার আরও বলেন, সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনের ৩নং আসামি সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ রানা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিমের ভাই হওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তার প্রভাব বিস্তার করছে। পাশাপাশি মামলাটি উঠিয়ে নিনেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আসামি পক্ষের লোকজনেরা। ফলে আত্ম রক্ষায় জেলা শহরে সন্তানদের নিয়ে বাসা ভাড়া করে আমি বসবাস করছি।
[৫] সংবাদ সম্মেলনে নিহত সাবেক বিজিবি সদস্য ইয়াছিন মিয়ার স্ত্রী নাসিমা বেগম ও সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :