নূর মোহাম্মদ: [২] জালিয়াত চক্রের দেওয়া ভূয়া মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে স্বর্বস্ব হারিয়েছে এমন দাবি করে চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ভুক্তভোগী অ্যাডভোকেট মফিজুলের পক্ষে মঙ্গলবার ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন।
[৩] লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি অসাধু চক্র নিরীহ মানুষকে হয়রানির মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। খুলনার নারী শিশু আদালতের পেশকার ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত। জালিয়াতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ওই পেশকার খুলনা শহরে তিনটি বাড়ী, নামে বেনামে বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন বলে দাবি করেন আনোয়ার।
[৪] আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, তার মক্কেল মফিজুল ইসলাম ২০০৮ সালের ১১ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। তবে ১২ ডিসেম্বর নববধূসহ বাড়ীতে গেলে একই গ্রামের মনিরুজ্জামান মনু গং, এবং বাবুরাবাদ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক গাজীর কন্যা রাবেয়া পারভীন তার বাড়িতে গিয়ে রাবেয়াকে তার স্ত্রী বলে দাবি করে। ওই ঘটনায় সম্মান হানির অভিযোগে মনু গংদের বিরুদ্ধে মামলাও করেন মফিজুল।
[৫] তবে আসামিরা জাল কাবিননামা সৃষ্টি করে ২৩ ডিসেম্বর খুলনা সিএমএম কোর্টে যৌতুক মামলা করে। ওই মামলা গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে বের হয়ে ভুয়া ওয়ারেন্ট ও জালিয়াতির ঘটনায় মামলা করলে আসামিরাও কারাবরন করে। এরপর মামলায় উল্লেখিত কাজীর ঠিকানায় গিয়ে জানা যায় নিকাহনামা সম্পাদনকারী কাজী ভুয়া। তারপরও পরবর্তীতে যৌতুক মামলায় মফিজুলকে আদালত সাজা দেন বলে জানান আনোয়ার হোসেন।
আপনার মতামত লিখুন :