সুজিৎ নন্দী : [২] বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী মঙ্গলবার ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়ে এ প্রস্তাব দেন।
[৩] স্মার্ট সিটি নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মেয়র তাপস এ সময় একটি লিখিত প্রস্তাবনার অনুরোধ করেন। প্রস্তাবে ভারতীয় হাইকমিশনার দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বলে জানান।
[৪] বৈঠকে মশক নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমসহ মৌলিক সেবা কার্যক্রমের দৃশ্যমান পরিবর্তন সাধনে নেতৃত্ব দেওয়ায় ভারতের হাইকমিশনার মেয়রকে অভিনন্দন জানান।
[৫] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১ আয়োজনে ভারতীয় অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণের জন্য ভারতীয় হাইকমিশনারের সহযোগিতা চেয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে উপলক্ষ্য করে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১ আয়োজন করতে যাচ্ছি। সেই আয়োজনে ভারতীয় অ্যাথলেটদের দৃশ্যমান অংশগ্রহণের জন্য আপনার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
[৬] এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১ এর আয়োজন সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তাপস এ সময় বলেন, ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট এর আওতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রস্তাবটি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই এ কাজে গতি আসবে।
[৭] এ সময় মহামারী করোনার প্রভাব হ্রাস পেলে মেয়র তাপসকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং কলকাতা সিটি করপোরেশনসহ কয়েকটি সিটি করপোরেশন এলাকা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব দেন।
[৮] ভারতীয় হাই কমিশনারের এই প্রস্তাবে ব্যারিস্টার তাপস ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, করোনার প্রভাব শেষ হলে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে তিনি ভারত সফর করবেন। এ সময় ভারতীয় সিটি কর্পোরেশন ব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করতেও তাপস সম্মতিজ্ঞাপন করেন।
[৯] এছাড়াও বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার নিরাপদ ডিজিটাল ব্যাংকিং, যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন, সিএফএল বাল্ব এর পরিবর্তে এলইডি বাল্ব প্রতিস্থাপন এবং রাজস্ব সংগ্রহ ও আদায় বাড়াতে প্রযুক্তিনির্ভও সমাধান, দুই দেশের আইনজীবীদের নিয়ে একটি আইন বিষয়ক বইমেলা আয়োজন এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশ ও ভারতের বিচারপতিরা বাংলাদেশ হতে ভারতের এবং ভারত হতে বাংলাদেশের হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্ট পরিদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহযোগিতা করারও প্রস্তাব দেন।
[১১] মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ দায়িত্ব পালন করতে পারাটাকে সৌভাগ্য বর্ণনা করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতীয় বিমান বাহিনীর সদস্য হিসেবে যৌথ বাহিনীর হয়ে তার পিতা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠকে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: বাশার নূরু
আপনার মতামত লিখুন :