শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ মা হিসেবে পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়ে দেশের ইতিহাসে নাম লেখালেন অভিনেত্রী বাঁধন ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৫৬ দুপুর
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধনীরা অন্যরকম, মহামারীতেও তারা বিপুল পরিমানে অলঙ্কার কিনেছে

রাশিদ রিয়াজ : মহামারীতে ধনী ও গরীবের ব্যবধান এধরনের কেনাকাটার মাধ্যমে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ধনীরা স্বর্ণ ও হীরার আংটি, নেকলেস সহ অলঙ্কার কিনেছে বেশি। এডান গোলান নামে বাজার পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা বলছে গ্রীষ্মে মার্কিন ধনী ক্রেতারা যে পরিমানে অলঙ্কার কিনেছে তা মহামারী শুরু হবার পর এধরনের বিক্রিতে যে ভাটা পড়েছিল তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গত বছরের আগস্ট মাসের তুলনায় এবছর একই সময়ে অলঙ্কার বিক্রি হয়েছে ১০ শতাংশ বেশি। অর্থমূলে এর পরিমান সোয়া ৫ বিলিয়ন ডলার। সিগনেট জুয়েলার্স আরেক তথ্যে বলছে তাদের অলঙ্কার ও মনিমুক্তা বিক্রি গত আগস্টে গতবছরের একই সময়ের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ১০.৯ শতাংশ। এর আগে চেইন স্টোর কোম্পানি টিফানি জানায় পর্যটক হ্রাস পাওয়ায় গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর তাদের বিক্রি সামান্য হ্রাস পেলেও তা শতাংশে ডাবল ডিজিটেই অবস্থান করছে। টিফানি জানায় তাদের স্টোরে আরো নতুন ধরনের স্বর্ণ ও হীরার অলঙ্কার এসেছে এবং ক্রেতাদের সাড়াও মিলছে। সিএনএন

অর্থনীতিবিদরা বলছেন অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ধনী-গরীবের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও ব্যবধান সুস্পষ্ট হয়। বর্তমান অর্থনীতির পুনরুদ্ধারকে ইংরেজি অক্ষর ‘কে’র সঙ্গে তুলনা করে তারা বলছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন বিত্তের চেয়ে ধনীরা সহজেই এবং দ্রুত কেনাকাটায় ফিরে আসতে পারে। ডেলোইট্টি নামে অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার অর্থনৈতিক পূর্বাভাসকারী ড্যানিয়েল ব্যাচম্যান বলেন কোভিডভাইরাস মহামারী শ্রমবাজারে অসমভাবে আঘাত হেনেছে। যারা মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত তাদের অলঙ্কার কেনার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু যাদের আয় মহামারী সত্ত্বেও হ্রাস পায়নি কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা বেড়েছে তারা অলঙ্কার কিনছেন অনায়াসেই। ভ্রমণ করছেন এমনকি হীরার অলঙ্কার কিনছেন। অলঙ্কার বিক্রেতাদেরও তত্ত্ব রয়েছে যার ভিত্তিতে তারা দেখছেন বিক্রি ফিরতে শুরু করেছে। বৃহত্তম হীরা উত্তোলন কোম্পানি ডি বিয়ার্স’এর নির্বাহি ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিফেন লুইজার বলেন বিশে^র প্রতিটি বাজারে ক্রেতা ফিরে আসার সূচক হচ্ছে ভ্রমণ। আপনি যদি ১০ কিংবা ২৫তম বিয়ে বার্ষিকী বা জন্মদিন উদযাপন করেন তাহলে রোমান্টিক বিষয় হচ্ছে ভ্রমণ। তবে ভ্রমণ না বাড়লেও এর বাজেট থেকে কিছু বরাদ্দ চলে যাচ্ছে অলঙ্কার কেনাকাটায়। ডি বিয়ার্স’এর অলঙ্কার ব্রান্ড ফরইভারমার্ক গত জুলাই থেকে প্রতি মাসে আগের বছরের তুলনায় অলঙ্কার বিক্রি হার ডাবল ডিজিটেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গত সেপ্টেম্বর মার্কিন বিনিয়োগকারী ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস’এর খুচরা বিক্রেতাদের সম্মেলনে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট স্টোর চেইন কোম্পানি ম্যাসি’র সিইও জেফ্রি জেনেট্টি বলেন বিলাসবহুল পণ্যের বিক্রি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বাড়ছে। ভ্রমণ করেন না কিন্তু বিশাল আকারের কেনাকাটা করেন এমন ক্রেতাও রয়েছেন। সিএনএন বিজনেসকে ইমেইল করে ম্যাসি জানিয়েছে মহামারীর মধ্যেও তারা ক্রেতা পেয়েছে। বিশেষ করে অলঙ্কার কারণ তা এর মান ধরে রাখে। সিগনেট জুয়েলার্স বলছে মহামারীতে এনগেজমেন্ট রিং বিক্রিও বেড়েছে। কে জুয়েলার্স এন্ড জেলস’এর প্রেসিডেন্ট জেমি সিঙ্গেলটন বলেন যুগলরা গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারলেও কল্পনাকে প্রাধান্য দিয়ে হীরার আংটি ক্রয়েই বিনিয়োগ করছে। একজন ক্ষুদ্র অলঙ্কার বিক্রেতা বলেন মহামারীর শুরুর তুলনায় তারা ক্রেতা ফিরে পেতে শুরু করেছেন। যদি লকডাউনে শতবছরের অলঙ্কার বিক্রেতা ভ্যান কট জুয়েলার্স ভেস্টেল, নিউইয়র্কে তাদের স্টোরগুলো মধ্য মার্চে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। গত ৮ জুন এসব স্টোর পুনরায় খোলা হয়। এর মালিক বার্ডি লেভাইন বলেন হীরার তৈরি অলঙ্কারের দিকে ক্রেতাদের ঝোঁকও বেশি দেখা যাচ্ছে। এমনকি আমরা ২০, ৩০ ও ৪০ হাজার ডলারের হীরার অলঙ্কার পর্যন্ত বিক্রি করেছি। নতুন অলঙ্কারও তারা কিনছেন। এভাবে চলতে থাকলে আমরা গত বছরের বিক্রিকে ধরে ফেলতে পারব। ছুটিতে ক্রেতাদের যোগান দিতে আমরা অলঙ্কারের মজুদও বৃদ্ধি করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়