লিহান লিমা: [২] স্থানীয় সময় সোমবার এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সুদানের নতুন সরকার সন্ত্রাসবাদে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন পরিবারগুলোকে ৩৩৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে। তার বিনিময়ে আমি রাষ্ট্রীয় মদদকৃত সন্ত্রাসবাদের তালিকা থেকে সুদানকে সরিয়ে নিচ্ছি।’ সিএনএন/ডয়েচে ভেলে
[৩] সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদালা হামলক পাল্টা টুইটে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এখন সুদানকে রাষ্ট্রীয় মদদকৃত সন্ত্রাসবাদী দেশের কালো তালিকা থেকে সরাতে আনুষ্ঠানিক বার্তার অপেক্ষ করছি। যার জন্য সুদানকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে।’
[৪] ১৯৯৩ সালে সুদানের শাসক ওমর আল বশিরের ওপর সন্ত্রাসবাদী সংস্থাগুলোকে মদদ ও আল-কায়েদার জন্য নিরাপদ স্বর্গ তৈরি করে দেয়ার অভিযোগ এনে সুদানকে কালোতালিকাভূক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৯ সালের এপ্রিলে সামরিক অভ্যুত্থানে বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করেন আবদালা হামলক। আগস্টে মার্কিন পরররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সুদান সফর করেন।
[৫] সুদানের দেয়া ক্ষতিপূরণের এই অর্থ ১৯৯৮ সালে তানজানিয়া ও কেনিয়ার মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও ২০০০ সালে ইয়ামেনের ইউএসএস কোলে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারগুলোকে দেয়া হবে।
[৬] মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বের বাকি দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিকরণের পররাষ্ট্রনীতি। ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার সুদান, ওমান ও মরক্কোর সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকরণ নিয়ে আলোচনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে সুদানের স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা আসতে পারে। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যস্থতায় বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :