শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৪৬ দুপুর
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৪৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রহুল আমিন: অস্ত্রের লড়াই ইচ্ছে করলেই করা যায়, কিন্তু পুঁজির লড়াই টাকা হলেই করা যায় না

রহুল আমিন: বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সামাজিক অগ্রগতির সংবাদ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। এই সংবাদটি একদিকে আনন্দের অন্যদিকে ভয়ের। পৃথিবীতে সব ভালো সংবাদই খারাপ একটা সংবাদও নিয়ে আসে। এই খারাপ সংবাদটি হলো ‘যুদ্ধ’। এখানে ভারত, চীন, আমেরিকা, বার্মা, পাকিস্তান সবাই সেই খারাপ সংবাদের কারণ হতে পারে। বাংলাদেশকে একটি যুদ্ধে জড়িয়ে দেয়ার জন্য পাকিস্তান চেষ্টা করেছে বহু বছর ধরে। পাকিস্তানের পেছনে ছিলো সৌদি আরব, আমেরিকার প্ররোচনা। পাকিস্তানের চেষ্টা এখনো থেমে যায়নি কিন্তু তাদের শক্তি হ্রাস পাওয়ায় আসল শক্তিগুলো উকি দিচ্ছে। পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিলো ভারতের সাথে আমাদের লাগিয়ে রাখা। ভারতের রাজনীতিও দিন দিন বিকৃত আকার ধারণ করছে, তাই ভারতের দিক থেকে আমাদের উপর হুমকি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবু ভারতের অভ্যন্তরীণ স্বার্থে ভারতের পক্ষে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়াটা হবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত এর আগে চীনের খেলাটা কোথায় গিয়ে থাকে সেটাও দেখার বিষয় হবে। চীন ভারতের কৌশলগত প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের ভাগ্যবিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা প্রচুর। হঠকারী রাষ্ট্র মিয়ানমার অনেক আগে থেকেই একটা যুদ্ধবাদী নীতি গ্রহণ করেছে, ফলে বাংলাদেশ যুদ্ধ না জড়িয়েও অস্ত্র ও সামরিক বাহিনীর জন্য প্রচুর খরচ করতে হচ্ছে। বার্মা ও বাংলাদেশ উভয়েই প্রধানত চীনের অস্ত্র ব্যবহার করে। বার্মা উপরোন্ত ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশ থেকেই সমান তালে অস্ত্র কিনে।

বাংলাদেশ ভারত থেকে সবকিছু কিনতে চাইলেও অস্ত্র কিনতে চাইছে না। বাংলাদেশ এখানে কৌশলগত দিক থেকে মনোটোনাস, এই সুযোগটা নিতে চাইছে আমেরিকা। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে না, এটা নিশ্চিত বুঝতে পারছেন শেখ হাসিনা। তিনি তাই তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের জায়গা তৈরি করছেন। ভাসানচরের প্রথম প্রকল্প সফল হলে রোহিঙ্গারা আমাদের সাগরের নতুন চরগুলোতে অলিখিতভাবে পুনর্বাসিত হবে। কিন্তু যুদ্ধ বাংলাদেশের পিছু ছাড়বে না তবু। এই সত্যটিওস্পষ্ট বুঝতে পারছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা কী বসে আছেন? না তিনি বসে নেই, যাদের চোখ আছে তারা স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, তিনি ব্যবহার করছেন বহু পুরাতন কিন্ত এখনো কার্যকর একটি অস্ত্র ‘পুঁজি’। বাংলাদেশকে তিনি গড়ে তুলছেন বহুজাতিক পুঁজি বিনিয়োগের উপকেন্দ্র। এখানে জাপান, রাশিয়া, চীন, ভারত, আমেরিকান পুঁজিকে টেনে আনতে চাইছেন তিনি, এমনকি সৌদি আরব ও তুরস্কের পুঁজিকেও তিনি টানতে চেষ্টা করছেন। বহুমাত্রিক পুঁজির বিনিয়োগ দেশটিকে বহুজাতিক অস্ত্রের লড়াই থেকে পুঁজির লড়াইয়ে সরিয়ে নিতে চাইছেন। অস্ত্রের লড়াই ইচ্ছে করলেই করা যায়, কিন্তু পুঁজির লড়াই টাকা হলেই করা যায় না। তার জন্য দরকার মেধাবী, দক্ষ জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশ তুমি প্রস্তুত তো? নাকি বিকলাঙ্গ শিক্ষায় তথাকথিত শিক্ষিত লোকেরা ইন্ডিয়ান চাদর গায়ে দিয়ে ইন্ডিয়ান টিভি দেখতে দেখতে বলবেন, শালার ইন্ডিয়া দেশটকে শেষ করে দিলো। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়