বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] বিআইডিএসের হিসাবে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত নতুন দরিদ্র ১৬৪০০০০০, ভারতে মুক্ত হয়েছে ৭৫০০০০০।
[৩] অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুরের মতে ক্রয়ক্ষমতার হিসাবে ভারতের মোট জিডিপি প্রায় ১১ ট্রিলিয়ন অন্যদিকে বাংলাদেশের জিডিপি ৮৬১ বিলিয়ন। এই হিসাবে ভারতের জিডিপি বাংলাদেশের চেয়ে ১১ গুন বেশি। ভারতের মাথাপিছু জিডিপি (ক্রয়)৬২৮৪ আর বাংলাদেশের ৫১৩৯ ডলার। আইএমএফ বাংলাদেশের গার্মেন্ট ও রেমিটেন্সের উপরভিত্তি করে নমিনাল জিডিপির হিসাব দিয়েছে তাতে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। এটি ভাল. কিন্তু দেশের প্রকৃত অর্থনীতির চিত্র তাতে প্রকাশিত হয়নি।
[৪] বাংলাদেশ লেবার স্টাডি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত শ্রমিকরা ৫০০ মিলিয়ন ডলার মজুরি হারিয়েছেন। গার্মেন্ট বন্ধ হয়েছে ১৯১৫টি আর চাকুরি হারিয়েছেন ৩২৪৬৮৪ জন। আইসিডিডিআরবির জরিপে দেশের ৯১ শতাংশ পরিবার অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতায় রয়েছেন। অন্যদিকে ভারতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১১.১ আর বাংলাদেশে ২১.৮ শতাংশ।
[৫] রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে দেশের মোট রপ্তানি ৪১ বিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে পোশাক খাত থেকে এসেছে ২৫ বিলিয়ন। বাংলাদেশ সব মিলিয়ে প্রধান ৯টি দেশে পন্য রপ্তানি করে। একইভাবে ভারত রপ্তানি করে ৩২২ বিলিয়ন ডলার। ১৯২টি দেশে ৭৫০০ রকমের পণ্য এরমধ্যে রয়েছে। ভারত ২০২৪ সালে ভারত পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের।
[৬] অর্থনীতিবিদ ও ক্ষমতাসিন বিজেপির মুখপাত্র রনজু ভার্মা টুইট বার্তায় জানান, ভারতের জিডিপি ২০২২ সালে গোল্ডম্যান স্ন্যাকসের হিসাবে হিসাবে হবে ১৫.৭,ফিচের হিসাবে ৯.৯আর আইএমএফ বলছে ৮.৮ শতাংশ হবে সেখানে বাংলাদেশের হার এই ৩টি সংস্থাই বরছে ৪.৪এর বেশি হবে না। তিনি জানান, বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই উন্নতি করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে। তিনি বলেন, ভারতের নিজস্ব রাজনৈতিক প্রপোগন্ডায় বাংলাদেশ কখনোই হারিকিরি করবে না।
আপনার মতামত লিখুন :