শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:২০ সকাল
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] পুজোর বাজার কিংবা প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখা থেকে বিরত থাকাই উত্তম : ডা. প্রবীর কুমার

শাহীন খন্দকার : [২] যাদের হাঁপানিসহ ফুসফুসের অসুখ আছে তাদের কোনও মতেই ভিড়ের মধ্যে যাওয়া উচিত নয় বলে জানালেন, ডা. প্রবীর কুমার সরকার। কারণ এতে হাঁপানি আক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আর যেসব রোগীদের কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার গুরুতর অসুস্থ্যতার সম্ভাবনাসহ জীবনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

[৩] করোনা বৈশ্বিক এই মহামারিতে এ বছরের জন্য তাই পুজোর প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখা হতে বিরত থাকা মঙ্গল। নিরাপদে পুঁজো কাটাতে ভিড় এড়িয়ে চলার পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি বলে পরামর্শ দিয়েছেন, শেরে বাংলা নগর শিশু হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার।

[৪] তিনি বলেন ঋতু পরিবর্তনের এই সময় হাঁপানির প্রকোপ বাড়ে। দূষিত বাতাস, ফুলের রেণু, ধোঁয়া, ধুলো, ফোড়নের তীব্র গন্ধ সবই হাঁপানি বাড়িয়ে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে পৃথিবীর প্রায় ৩৩ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ হাঁপানির শিকার।

[৫] চিকিৎসার অভাবে পৃথিবীর দু’কোটি ৪৮ লক্ষ মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন না (ডিসএবিলিটি অ্যাডজাস্টেড লাইফ ইয়ার)। সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করে ও কিছু নিয়ম মেনে চললে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা যায় সহজেই জানালেন, ডা. প্রবীর কুমার ।

[৬] কিছু অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী জিনিস থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি, বাড়িতে এবং বাইরের তোষক বা বিছানার চাদরে ধুলো, ঘরের ঝুল, কার্পেট বা আসবাবপত্রের ধুলো এবং রান্নায় লঙ্কা বা অন্যান্য ফোড়নের গন্ধ, সিগারেট ও গাড়ির ধোঁয়া, পোষা পশু পাখির লোম, ফুলের রেণু থেকেও হাঁচি কাশি ও অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এ সব জিনিসের থেকে দূরে থাকতে হবে।

[৭] বাচ্চাঁদের মধ্যেও অ্যালার্জি ও হাঁপানির প্রকোপ খুব বেশি, বললেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাওলী সরকার। তাই ভিড়ের মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া অনুচিত।

[৮] ৩ বছরের বেশি বয়সের বাচ্চাদের মাস্ক পরিয়ে বাইরে নিয়ে যেতে হবে। খেলার মাঠ বা পার্কে যেতে পারে, কিন্তু ভিড়ে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। পুজোঁতে ভিড় না থাকলে পাড়ার ঠাকুর দেখিয়ে আনতে পারেন কিন্তু ভিড়ের মধ্যে ঠাকুর দেখতে না যাওয়া ভালো।

[৯] বাচ্চাঁদের সর্দি কাশি হলে হাঁপানি আছে কি না ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলেন তিনি। অনেকের কাশতে কাশতে চোখ মুখ লাল হয়ে যায়। বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই আওয়াজ আর শ্বাসকষ্ট এই রোগের এক অন্যতম লক্ষণ। কোভিড-১৯ সংক্রমণে হাঁপানির রোগীদের শ্বাসকষ্টের প্রবণতা বারিয়ে দেয়। গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স বা অ্যাসিডিটি হলে হাঁপানির কষ্ট বাড়ে। তাই পুজোর সময় মশলাদার ভাজাভুজি খাবার না খাওয়াই ভাল। কোভিড মহামারির এসময়ে একটু বুঝে চলা উচিত, পরামর্শ শাওলী সরকারের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়