ইসমাঈল ইমু: [২] জাল টাকা তৈরির অভিযোগে আগেও র্যাব-পুলিশের হাতে ছয়বার গ্রেপ্তার হয়েছেন হুমায়ুন কবির (৪৭)। প্রতিবারই জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজে জড়িয়েছেন। সর্বশেষ দেড় বছর আগে জেল থেকে বেরিয়ে আরও বড় পরিসরে জাল টাকা তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন তিনি।
[৩] রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নূরজাহান রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন কবিরের জাল টাকার কারখানার সন্ধান পায় মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ডিবি গুলশান বিভাগ পরিচালিত এ অভিযানে কারখানার মালিক হুমায়ুন কবিরসহ চারজনকে আটক করা হয়। অন্য আটককৃতরা হলেন-জামাল উদ্দিন (৪২), তাসলিমা আক্তার (৩০) ও সুখী আক্তার (৩০)।
[৪] এ সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি আসুস ল্যাপটপ, চারটি ইপসন প্রিন্টার, কয়েকটি কাটার, অনেকগুলো স্ক্রিন, ডাইস, নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন রঙের কালি, আঠা, বিপুল পরিমাণ জলছাপ যুক্ত বিশেষ কাগজসহ অন্যান্য সামগ্রী ও সফট ডাটা/কপি উদ্ধার করা হয়। যা দিয়ে আনুমানিক চার কোটি টাকার জাল নোট তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া, বাসার বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা কয়েক বান্ডলে ৪৯ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
[৫] ডিবি পুলিশ জানায়, জাল টাকা তৈরির অভিযোগে হুমায়ুন এর আগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ডিবি ও থানা পুলিশের হাতে ছয়বার গ্রেফতার হয়েছেন। জামালের নামেও রয়েছে জাল টাকার দু’টি মামলা। চক্রটি সারা বছর ধরে জাল টাকা তৈরি করলেও আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেশ কয়েকদিন ধরে জোরেশোরে জাল টাকা তৈরি করে আসছিল। কারখানার মালিক হুমায়ুন আটক দুই নারীকে ১৫ হাজার টাকা এবং ১০ হাজার টাকায় চাকরি দিয়েছিলেন। আটক তাসলিমা আখতারের স্বামী সাইফুল ইসলাম গত জানুয়ারি মাসে র্যাবের হাতে আটক হয়ে জেলে আছেন।
[৬] ডিবি পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, ডিবি পুলিশের গুলশান বিভাগের গাড়ি চুরি এবং সঙ্ঘবদ্ধ দলের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের ছয় তলা একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :