সিরাজুল ইসলাম: [২] অন্যদেশে প্রভাব সৃষ্টি, বিশৃঙ্খলা তৈরি ও শত্রু মোকাবেলায় কয়েকটি দেশ মিলিশিয়া বাহিনী গড়ে তুলেছে। বাদ যায়নি যুক্তরাষ্ট্রও। অপেক্ষাকৃত কম ব্যয় হওয়ায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি তারা এ বাহিনী পুষছে। এসব বাহিনীতে নারী সদস্যও রয়েছে।
[৩] সব চেয়ে বেশি মিলিশিয়া বাহিনী রয়েছে ইরানের। নিজ দেশে তাদের বাহিনীর নাম কুর্দস ফোর্স। এরাই সবচেয়ে শক্তিশালী মিলিশিয়া বাহিনী। তাদের রকেট গবেষণা সেল রয়েছে। ইরাকে দেশটির মিলিশিয়া বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স। এছাড়া লেবাননে হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীরাও ইরানের মিলিশিয়া বাহিনী বলে পরিচিত। সিরিয়ায় কয়েকটি গোষ্ঠী তাদের হয়ে লড়াই করছে।
[৪] ইরানের মিলিশিয়ারা আইসের বিরুদ্ধে লড়ছে। মার্কিন বাহিনীও তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু। তারা ইসরায়েলেরও শত্রু।
[৫] সিরিয়ায় এসডিএফ মিলিশিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরা কুর্দি বাহিনী নামেও পরিচিত। তারা একই সঙ্গে আসাদ সরকার, আইএস, তুর্কি ও রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে।
[৬] নাম না থাকলেও সিরিয়ায় তুরস্কপন্থি যোদ্ধা রয়েছে। তারা আইএস এবং এ্সডিএফের বিরুদ্ধে লড়ছে। ৩০ হাজার সদস্যের এসডিএফ বাহিনীর অর্ধেক কুর্দি এবং বাকিরা আরব যোদ্ধা। তুরস্কের ১৫ শতাংশ বাসিন্দা কুর্দি। এ বাহিনী মাথাচাড়া দিলে তুরস্কের অভ্যন্তরে এর প্রভাব পড়বে।
[৭] শুরুর দিকে হামাস ফিলিস্তিনে মিলিশিয়া বাহিনী হিসেবে পরিচিতি পায়। পরে এটি রাজনৈতিক দলে রূপ নেয়। নির্বাচিত হয়ে তারা এখন গাজা নিয়ন্ত্রণ করছে।
[৮] নাগরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের পক্ষে সিরিয়ার তুরস্কপন্থি মিলিশিয়ারা লড়াই করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি, গালফ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :