শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:২৫ সকাল
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা দিতেন এসআই আকবর

ডেস্ক রির্পোট : আবদুল আলিম ওরফে মুক্তার বাসা সিলেট নগরের বারুতখানা এলাকায়। গত ১৫ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটার ঘটনা। হঠাৎ আলিমের বাসায় হাজির হন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া। পুলিশ আসার খবর শোনে দ্রুত বাসায় যান আবদুল আলিমের ভাই এজাজ আহমেদ। তখন এজাজকে এসআই আকবর জানান, তাঁর ভাই আলিম মাদক বেচাকেনায় জড়িত। এ কথা বলেই আলিমকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ভাইকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে এসআই আকবর তাঁর কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আলিমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করে পুলিশ। আলিমকে ২১টি ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। তবে পরিবার বলছে, আলিমকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে কোনো মাদকদ্রব্য ছিল না।

১০ অক্টোবর মধ্যরাতে রায়হান আহমেদ (৩৪) নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রাখা হয়। সেখানে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওই ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া। ঘটনার পরপরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আকবরসহ ওই ফাঁড়ির চার সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। রায়হানের মৃত্যুর পর এসআই আকবরের আরও কিছু অপকর্ম সম্পর্কে ভুক্তভোগীরা মুখ খুলছেন। বিএন নিউজ

আকবরের কর্মস্থলের তথ্য অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের বেড়তলা বগৈর গ্রামের আকবর হোসেন ভূইয়া ২০১৪ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন। কনস্টেবল থেকে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও পরে উপপরিদর্শক (এসআই) পদে পদোন্নতি পান। এসআই হওয়ার পর থেকে তাঁর দাপট বাড়ে। কোতোয়ালি থানা থেকে ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) হিসেবে যোগ দেন। ওই সময় থেকে আকবর তাঁর ফাঁড়ি এলাকায় তৈরি করেন আলাদা এক জগৎ।

অভিযোগ আছে, তাঁকে দৈনিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা চাঁদা দিয়ে ফাঁড়ির আওতাভুক্ত বন্দরবাজার এবং আশপাশের এলাকার ফুটপাত ও প্রধান সড়ক অবৈধভাবে দখল করে ভ্রাম্যমাণ হকারেরা ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতেন। ফাঁড়ির অন্তর্ভুক্ত এলাকায় দুই হাজার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী রয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন হকার আকবরকে ‘চাঁদা’ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এতে প্রতিদিন গড়ে অন্তত এক লাখ টাকা আকবর ‘চাঁদা’ আদায় করতেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গোপন প্রতিবেদনেও ওঠে এসেছে এসব তথ্য।

বন্দরবাজার এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আকবর প্রায়ই নিরীহ পথচারীদের আটকে টাকা দাবি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখালে ভুক্তভোগীরা টাকা দিয়ে ছাড়া পেতেন।

১০ অক্টোবর রাতে নগরের নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমেদকে আটক করে পরিবারের কাছে টাকা দাবি করেন আকবর। ওই রাতে রায়হান পুলিশের হেফাজতে মারা গেলে পরদিন এই মৃত্যুর ঘটনাটি ‘গণপিটুনি’ বলে গণমাধ্যমকর্মীদের ফোন করে জানিয়েছিলেন আকবর। পরে রায়হানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করে। রাতে হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা হয়।

এরপর তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে রায়হান হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপরই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। আকবর এখন গা–ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সূত্র: প্রথম আলো, সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়