আলী রীয়াজ: যুক্তরাষ্ট্রে দেশের অন্যতম প্রধান নেটওয়ার্ক টেলিভিশন এনবিসি বয়কটের জন্যে প্রচারণা শুরু হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এখন এটাই ট্রেনডিং। হ্যাঁ, আপনি ঠিক দেখেছেন, আমি বলছি যে এনবিসিকে বয়কটের জন্য বলা হচ্ছে। এই প্রচার ডেমোক্রেট এবং উদারনীতির সমর্থকদের, এর সঙ্গে একমত হয়েছেন সাংবাদিকরাও। বৃহস্পতিবার রাতে এনবিসি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি টাউন হল অনুষ্ঠান প্রচার করবে এই ঘোষণা দেবার পর এই বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এটুকু পড়ে আপনি ডেমোক্রেট এবং লিবারেলদের ওপরে ক্ষুব্ধ হতে পারেন। কিন্তু এই ডাক এই কারণে নয় যে, এনবিসি ট্রাম্পের অনুষ্ঠান প্রচার করবে। ক্ষোভের কারণ হচ্ছে এনবিসি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনের একটি টাউন হল মিটিংয়ের সময়।
এবিসি টেলিভিশন গত ৮ অক্টোবর ঘোষণা করে যে, তাঁদের উদ্যোগে আয়োজিত একটি টাউন হল মিটিংযে জো বাইডেন অংশ নেবেন ১৫ অক্টোবর পূর্বাঞ্চলীয় সময় রাত ৯টায়। ট্রাম্প বাইডেনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত দ্বিতীয় বিতর্ক, যা ১৫ অক্টোবর হবার কথা ছিলো, তাতে অংশ নিতে অস্বীকার করার পর এবিসি বাইডেনের টাউন হলের আয়োজন করে। একথা জানা সত্ত্বেও এনবিসি বুধবার ১৪ তারিখ সকালে ঘোষণা করে এই অনুষ্ঠানের। এর পরেই এনবিসির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে ক্ষোভের প্রকাশ। এমনকি এনবিসির সাংবাদিক এবং কর্মচারীরা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে টুইট করছেন। এনবিসির এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই মনে করছেন, সাংবাদিকতার শিষ্টাচারবিরোধী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কার অনুষ্ঠানে বেশি দর্শক হবে সেটা দিয়ে নির্বাচনের ফল বা জনপ্রিয়তা বোঝা যাবে মনে করার কারণ নেই। কিন্তু ইতোমধ্যেই যা বোঝা যাচ্ছে, তা হচ্ছে এনবিসির এই সিদ্ধান্ত কেবল যে ভবিষ্যতে তাঁদের দর্শক সংখ্যার ওপরে প্রভাব ফেলবে তা নয়, তাঁদের ওপরে আস্থাও হ্রাস করবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :