শরীফ শাওন: [২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সকল হল, হোস্টেল ও প্রধান ভবনগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
[৩] ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৭টায় জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করা হয়। পরে জগন্নাথ হলের অক্টোবর স্মৃতি ভবন প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও নিহতদের আত্নার শান্তি কামনায় জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং আছরের নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে মোনাজাত করা হয়।
[৪] অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেকে সাধ্যানুযায়ী রক্ত, অর্থ ও শ্রম দিয়ে হতাহতদের সাহায্যে সকলে এগিয়ে এসেছিল। এই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা হলো আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ।
[৫] উপাচার্য বলেন, ১৫ অক্টোবর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজ নিজ দায়িত্বের জায়গাটি জাগ্রত রাখতে হবে। এই ধরণের দুঃখজনক ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে যত্নবান ও সচেতন থাকার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
[৬] জগন্নাথ হলের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ২৬জন ছাত্র, ১৪জন অতিথি ও কর্মচারীসহ মোট ৪০জন নিহত হন। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিবছর এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালিত হয়।