হাকিম ভূঁইয়া: [২] নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে (৪০) বছর বয়সি বিধবা এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার ফকিরবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ভাই ভাই ম্পিনিং মিলের শ্রমিক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বৃহম্পতিবার নির্যাততা বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন।
[৩] অভিযুক্তরা হলো- নৈকাহন এলাকার মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে আলী আকবর ( ৫০), মৃত আ: মালেকের ছেলে মোস্তফা ( ৫৫), মৃত রহমত আলীর ছেলে আনারুল ( ৪০), ডা. হোসেন মিয়ার ছেলে লিটন (৩২) খোকা মিয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার লস্কর আলীর ছেলে শাহীন (৩২)। পুলিশ গতকাল পর্যন্ত অভিযুক্তদের মধ্যে আলী আকবর গ্রেপ্তার করেছে। (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় নৈকাহন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
[৪] মামলায় উল্লেখিত বিবরণ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, নির্যাতিতা নারী তার নাতিনের জন্য স্থানীয় একটি ফামের্সী থেকে ঔষধ কিনতে সাড়ে ৭টার দিকে কাইমপুর কবরস্থান এলাকায় তার বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ির কিছু অদূরে নৈকাহন বাজারে যেতেই তাকে আলী আকবর নামে এক ব্যক্তি আনিসের মার্কেটে তার মাছের দোকানে ডেকে নিয়ে যায়। পরে দোকানের সাটার বন্ধ করে ভিতরে তাকে ধর্ষণ করে।
[৫] পরে দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তায় তিনি একই এলাকার মোস্তফা, আনারুল, লিটনকে দেখতে পান। পরে তারা তাকে ঘটনাটি আপোষ মীমাংশা করে দেয়ার কথা বলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে লিটনের পুকুর পাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে লিটন মোবাইলে ফোন করে তার বন্ধু তারিকুল ও শাহীনুরকেও ডেকে নিয়ে আসে। তারা আমাকে জোরপূর্বক আখড়পাড়া এলাকার জৈনক আলী হোসেনের নির্মাণধীন বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা নারী এজাহারে আরও উল্লেখ্য করেন, মান-সম্মানের ভয়ে বিষয়টি প্রথমে তিনি গোপন রাখেন।
[৬] পরবর্তীতে বিবেকের তারণায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানান। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতা নারীর পক্ষ থেকে একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এজাহারনামীয় এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারেও পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :