শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০৫:৩৮ সকাল
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০৫:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেজিতে দু’এক টাকা কমলেও সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না আলু

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বাজার ভেদে আলুর দাম দু’এক টাকা কমলেও সরকারের নির্ধারিত দামে মিলছে না আলু। প্রায় এক মাস ধরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে আলুর বাজারে। তবে গত দুই সপ্তাহে লাগামহীন হয়ে যায় পণ্যটির দাম। অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে এখনও খুচরা বাজারে মানা হচ্ছে না সরকারের (কৃষি বিপণন অধিদফতর) নির্ধারিত আলুর দাম। সরকার আলুর দাম হিমাগারে ২৩, পাইকারিতে ২৫ এবং খুচরা কেজিতে ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করেছে। তবে আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে রাজশাহীর আলু ৪৫ টাকা, বিক্রমপুরের আলু ৪০ টাকা ও লাল আলু ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি তথ্য মতে, আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল রংপুর। পাইকারদের দাবি হিমাগারগুলোই কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে। কৃষি আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না সরকার। অন্যদিকে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। গত মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে আলুর উৎপাদন ছিলো ৩৮ লাখ মেট্রিক টন। আর এই অঞ্চলের আনুমানিক চাহিদা প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। সেই হিসেবে উদ্বৃত্ত আছে ২৮ লাখ মেট্রিক টন আলু।

এক চিঠিতে কৃষি বিপণন অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশে গত আলুর মৌসুমে প্রায় এক দশমিক নয় কোটি মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ দশমিক নয় লাখ মেট্রিক টন। এতে দেখা যায় যে, গত বছর উৎপাদিত মোট আলু থেকে প্রায় ৩১ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। কিছু পরিমাণ আলু রপ্তানি হলেও ঘাটতির আশঙ্কা নেই।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর আরও বলছে, মাঠ পর্যায়ে কেজিপ্রতি আলুর উৎপাদন খরচ ৮ টাকা ৩২ পয়সা। হিমাগার পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২৩ টাকা। পাইকারী ও আড়তদার পর্যায়ে ২৫ টাকা আর ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ টাকার বেশি দামে আলু বিক্রি অযৌক্তিক। রংপুর বিভাগে হিমাগারের সংখ্যা ৯০টি। যেখানে মজুদ রয়েছে সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন আলু। কয়েক দফা বন্যায় সবজির ক্ষতিকে পুঁজি করে হিমাগারগুলো থেকেই আলু বিক্রি হচ্ছে বস্তা প্রতি ৩৬শ টাকা। যা কেজিতে দাঁড়ায় ৪২ টাকা। পাইকারদের দাবি হিমাগারগুলোই কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে।

পাইকাররা বলছেন, গেলো কয়েকদিনের চেয়ে দুই তিন টাকা কম দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। হঠাৎ বাজার নিয়ন্ত্রণ শুরু করায় লোকসানে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে নয়, হিমাগারে অভিযান চালানো উচিৎ বলে মনে করেন পাইকাররা। এদিকে আলুসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়