শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০৫:৩৮ সকাল
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০৫:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেজিতে দু’এক টাকা কমলেও সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না আলু

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বাজার ভেদে আলুর দাম দু’এক টাকা কমলেও সরকারের নির্ধারিত দামে মিলছে না আলু। প্রায় এক মাস ধরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে আলুর বাজারে। তবে গত দুই সপ্তাহে লাগামহীন হয়ে যায় পণ্যটির দাম। অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে এখনও খুচরা বাজারে মানা হচ্ছে না সরকারের (কৃষি বিপণন অধিদফতর) নির্ধারিত আলুর দাম। সরকার আলুর দাম হিমাগারে ২৩, পাইকারিতে ২৫ এবং খুচরা কেজিতে ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করেছে। তবে আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে রাজশাহীর আলু ৪৫ টাকা, বিক্রমপুরের আলু ৪০ টাকা ও লাল আলু ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি তথ্য মতে, আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল রংপুর। পাইকারদের দাবি হিমাগারগুলোই কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে। কৃষি আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না সরকার। অন্যদিকে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। গত মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে আলুর উৎপাদন ছিলো ৩৮ লাখ মেট্রিক টন। আর এই অঞ্চলের আনুমানিক চাহিদা প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। সেই হিসেবে উদ্বৃত্ত আছে ২৮ লাখ মেট্রিক টন আলু।

এক চিঠিতে কৃষি বিপণন অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশে গত আলুর মৌসুমে প্রায় এক দশমিক নয় কোটি মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ দশমিক নয় লাখ মেট্রিক টন। এতে দেখা যায় যে, গত বছর উৎপাদিত মোট আলু থেকে প্রায় ৩১ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। কিছু পরিমাণ আলু রপ্তানি হলেও ঘাটতির আশঙ্কা নেই।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর আরও বলছে, মাঠ পর্যায়ে কেজিপ্রতি আলুর উৎপাদন খরচ ৮ টাকা ৩২ পয়সা। হিমাগার পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২৩ টাকা। পাইকারী ও আড়তদার পর্যায়ে ২৫ টাকা আর ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ টাকার বেশি দামে আলু বিক্রি অযৌক্তিক। রংপুর বিভাগে হিমাগারের সংখ্যা ৯০টি। যেখানে মজুদ রয়েছে সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন আলু। কয়েক দফা বন্যায় সবজির ক্ষতিকে পুঁজি করে হিমাগারগুলো থেকেই আলু বিক্রি হচ্ছে বস্তা প্রতি ৩৬শ টাকা। যা কেজিতে দাঁড়ায় ৪২ টাকা। পাইকারদের দাবি হিমাগারগুলোই কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে।

পাইকাররা বলছেন, গেলো কয়েকদিনের চেয়ে দুই তিন টাকা কম দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। হঠাৎ বাজার নিয়ন্ত্রণ শুরু করায় লোকসানে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে নয়, হিমাগারে অভিযান চালানো উচিৎ বলে মনে করেন পাইকাররা। এদিকে আলুসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়