লিহান লিমা: [২] নতুন দুইটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তের গ্রুপ ব্যক্তির রোগ সংক্রমণ এবং রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর অসুস্থতার মাত্রার ওপর প্রভাব ফেলে। দুইটি গবেষণাই ‘ব্লাড এডভান্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। কি কারণে এই ভিন্নতা তৈরি হয় তা জানতে আরো বেশি গবেষণার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সিএনএন
[৩]ডেনমার্কের গবেষকরা কোভিড-১৯ পজেটিভ ৭ হাজার ৪২২ জনের ওপর পরীক্ষা করে দেখেছন, তাদের মধ্যে মাত্র ৩৮.৪ শতাংশের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ এবং বাকি যে ২২ লাখ ব্যক্তিকে পরীক্ষার আওতায় আনা হয় নি তাদের রক্তের গ্রুপের মধ্যে ৪১.৭ শতাংশই ‘ও’ গ্রুপের রক্তধারী। অন্যদিকে কোভিড পজেটিভ আসা ৪৪.৪ শতাংশের রক্তের গ্রুপ ‘এ’, ডেনমার্কের জনসংখ্যা অনুসারে এই গ্রুপের রক্তধারীর হার ৪২.৪ শতাংশ।
[৪]আরেক গবেষণায় কানাডার গবেষকরা দেখেছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমিত হওয়ার পর মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া ৯৫জন ব্যক্তির রক্তের গ্রুপ ‘এ’ বা ‘এবি’। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী ভেন্টিলেশনে যাওয়ার রোগিদের মধ্যে ৮৪ শতাংশের গ্রুপ ‘এ’ বা ‘এবি’ এবং ৬১ শতাংশ ‘ও’ এবং ‘বি’।
[৫]কানাডার এই গবেষণায় আরো উঠে আসে, যাদের রক্তের গ্রুপ ‘এ’ এবং ‘এবি’ তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে দীর্ঘদিন থাকতে হয়। অর্থাৎ ‘ও’ এবং ‘বি’ গ্রুপের রোগীরা যেখানে গড়ে ৯ দিন থাকেন ‘এ’ এবং ‘এবি’ গ্রুপের ব্যক্তিদের সময় লাগে ১৩.৫ দিন।
[৬]ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার মিপিন্ডার সেকন বলেন, ‘এর মানে এই নয় যদি কারো রক্তের গ্রুপ ‘এ’ হয় তবে তার উদ্বেগে পড়ে যাওয়া উচিত আর ‘ও’ গ্রুপধারীরা ইচ্ছেমতো পাব ও বারে ঘোরাঘুরি করতে যাবেন।’
[৭]বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই ‘এ, বি, এবি বা ও’ গ্রুপের রক্তধারী।
আপনার মতামত লিখুন :