শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০২:৫২ রাত
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০২:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওয়ালিউর রহমান: রোহিঙ্গা সংকট, ভাসানচর, মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়

ওয়ালিউর রহমান: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর বিষয়ে প্রথমে দেশে বিদেশে কোথাও কারোরই কোনো আপত্তি ছিলো না। সত্য বলতে গেলে সবাই এটাকে সমর্থন করেছেন এবং একটি নতুন ও সময়োপযোগী চিন্তাধারা বলে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, আরও এরকম আরো যদি কোনো সংস্থাপনের জায়গা পাওয়া যায়, সেখানেও তাদের পাঠিয়ে দেওয়া উচিত হবে। যুক্তি হিসেবে যে বিষয়গুলো তাদের কাছ থেকে শোনা গিয়েছে সেগুলো এখনো বিদ্যমান। বরং প্রকারান্তরে সেগুলো আরো প্রকটভাবে বিদ্যমান।

প্রথমত, রোহিঙ্গাদের অবস্থানের কারণে স্থানীয়পর্যায়ে ও পারিপার্শ্বিক এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি বারবারই সামনে চলে আসছে। দ্বীতিয়ত, রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও সংঘাত। ইতোমধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সংঘাত পরিলক্ষিত হয়েছে। তৃতীয়ত, সেখানে বিভিন্ন ধরণের অনৈতিক ও আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড সংগঠিত হচ্ছে।

এখানে অবশ্য আরেকটি বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিদেশি কিছু দাতা সংস্থা আপত্তি তুলছে। এর পেছনে কারণও আছে। রোহিঙ্গা সংকটকে মাধ্যম করে কিছু গোষ্ঠি তাদের অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার তৈরি করেছে। তারা একে সম্বল করে টাকাকড়ি প্রবৃদ্ধ করছে। সংকট সমাধা হয়ে গেলে তাদের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থ আত্মসাতের এতো সহজ উপায় তারা কি ছেড়ে দিতে চাইবে?

ভাসানচরে এক বা দেড় লাখ মানুষ যাবে। অন্য জায়গায় তাদের স্থানান্তর করতে পারলে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। সেখানে বিভিন্ন সংস্থা তাদের সহায়তা করতে পারবে। অন্ততপক্ষ্যে বিভিন্ন হোটেলে হোটেলে ঘুরে, বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে, অর্থ ব্যয় করার সুযোগ থাকবে না।
অবশ্য সরকারকে তার চেষ্টা দ্বিগুন করতে হবে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আরও জোরেশোরে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। হঠাৎ মনে হচ্ছে সবই যেন ঠিক হয়ে গেছে। যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন তখন বিভিন্ন দিক থেকেই ক্যা কু, হু হা শুনা যায়। প্রধানমন্ত্রী একটু চুপ করলেই সবাই যেন কোথায় হারিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে তার বার্তা শুনিয়ে দিয়েছেন। বিশ^বাসীর কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন। সমাধানের উপায় ও মাধ্যম নিয়েও কথা বলেছেন। পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ, আইসিসি, আইসিজেতে উল্লেখযোগ্য ফলাফলও এসেছে। কিন্তু সমাধানের জন্য দরকার একটি সামষ্টিক প্রচেষ্টা।

এখানে স্মরণ রাখতে হবে, আন্তর্জাতিক ভাবে যারা আমাদের সাহায্য করতে পারে তারা হল, চীন, রাশিয়া ও ভারত। এ তিনটি দেশ একত্রিত হলে আমরা সমাধানের পথে এগিয়ে যাব। কিন্তু একটি দেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। বন্ধুদেশ ভারত সেটা করতে পারে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের জনগণ। তারা সেখানেই ফিরে যাবে। আজ বা কাল, সেটিই হল মুখ্য। আমাদের তাদের ভাসানচরে পাঠানোর পাশাপাশি এ প্রক্রিয়াও জোরালোভাবে চলমান রাখতে হবে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সেভাবেই নির্দেশনা দিয়েছেন।

পরিচিতি: লেখক ও গবেষক, সাবেক রাষ্ট্রদূত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়