শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০১:৪৩ রাত
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০১:৪৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মারুফ কামাল খান: এক দশকে বৈদেশিক ঋণের বোঝাটাকে দ্বিগুণেরও বেশি ভারী করে ফেলেছে সরকার

মারুফ কামাল খান: বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ গত দশ বছরে শতকরা ১শ’২৫ ভাগ বেড়েছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কেবল আওয়ামী লীগই নানা রকম কায়দা করে ক্ষমতায় রয়ে গেছে। উন্নয়নের নামে হরেক রকম প্রকল্প করে এই পরিমাণ ঋণগ্রস্ত করা হয়েছে বাংলাদেশকে। অন্য এক হিসেবে এখন এই দরিদ্র দেশে বসবাসরত মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় পৌণে ছয়শ ডলার। অর্থাৎ আপনার পরিবারে প্রতিটি শিশু মাথায় পৌনে ছয়শ ডলার ঋণের বোঝা নিয়ে জন্মাবে। এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল আড়াই হাজার কোটি ডলারের মতন। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার সাতশ কোটি ডলারেও বেশি। অর্থাৎ এক দশকে তারা বৈদেশিক ঋণের বোঝাটাকে দ্বিগুণেরও বেশি ভারী করে ফেলেছে।

রাষ্ট্রীয় স্বৈরশক্তির জোরে ক্ষমতায় থাকা জবাবদিহিতাহীন শাসকদের তাইরে নাইরে উন্নয়নের নামে লুট-লোপাটতন্ত্রকে বাহবা দিয়ে এভাবেই বিদেশিরা একটা দেশকে ঋণের ফাঁদে আটকে ফেলে। এভাবে অনেক দেশই সর্বসান্ত ও ফতুর হয়েছে। এরাও হয়তো কথিত উন্নতির ছলাকলায় এভাবে দেশটাকে ফোকলা করে ফেলে চলে যাবে একসময়। কারো পক্ষেই তখন আর এদেশটাকে টেনে তোলা, সচল রাখা সম্ভব হবেনা। গত এক দশকে আনা বিপুল বৈদেশিক ঋণে দেশের কতোটা উন্নতি হয়েছে, দেশের মানুষের জীবনমানের কতোটা অগ্রগতি হয়েছে আর কতোটা ওদের পেটে গিয়েছে, কতোটা লুটপাট করে বিদেশে পাচার হয়েছে সে হিসেব কিন্তু বিশ^ব্যাংক দেয়নি, কখনো দেবেও না। যাদের ওপর এভাবে ঋণের বোঝা ওরা চাপাচ্ছে সেই জনগণের পক্ষে জবাবদিহি করবার কোনো ব্যবস্থা ওরা রাখেনি। জনগণের ভোট তুলে দিয়ে জাতীয় সংসদকে করেছে রাবার স্ট্যাম্প ও প্রকৃত বিরোধী দলশূন্য। সাধারণ মানুষ কোনো দিন কি নিজেরাই তাদের ঋণের টাকার হিসেব আদায় করতে জবাবদিহিতাহীন শাসকদের গলায় গামছা লাগিয়ে রাজপথে টেনে আনতে পারবে? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়